সেন্ত পিতার্সবুর্গ স্টেডিয়ামে শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে ইরানের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে ২০ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা মরক্কো। কিন্তু চতুর্থ মিনিটে ১৬ গজ দূর থেকে হাকিম জিয়াশ এবং পাঁচ মিনিট পর আইয়ুব এল কাবি লক্ষভ্রষ্ট শটে দলকে হতাশ করেন।
প্রথমবারের মতো টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে আসা ইরান বেঁচে যায় ১৯তম মিনিটেও। বেলহান্দার প্রচেষ্টা ফিরে আসার পর ডি-বক্সের জটলার মধ্যে থেকে মেহেদি বেনাতিয়ার ফিরতি শট ফেরান গোলরক্ষক।
৪৩তম মিনিটে সরদার আজমাউনের প্লেসিং শট দারুণ দক্ষতায় পা বাড়িয়ে গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে বাছাইপর্বে অপরাজিত থাকা ইরানের প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর আক্রমণের ধার কমে। বাছাইয়ে দারুণ করা ইরানের খেলাতেও ফেরেনি ছন্দ। ৮০তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে জিয়াশের ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ইরানকে বাঁচন গোলরক্ষক।
এতেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দেখায় জিতল ইরান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের এটি দ্বিতীয় জয়। ২০ বছর আগে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের আসরে যুক্তরাষ্ট্রকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।
ওই বিশ্বকাপেই মরক্কো ৩-০ গোলে জিতেছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আরেকটি জয়ের জন্য অপেক্ষা বাড়ল আফ্রিকার দেশটির।
‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী বুধবার মরক্কো ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবং ইরান ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের মুখোমুখি হবে।