‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মিশরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়ে। আতলেতিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার হিমেনেসের গোলে শুরুর ম্যাচের গেরো কাটাল দলটি। বিশ্বকাপে ছয় আসর পর নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
পুরোপুরি ফিট না থাকায় শুক্রবার একাতেরিনবুর্গ অ্যারেনায় মিশরের প্রথম ম্যাচে খেলেননি সালাহ। এদিন নিজের ২৬তম জন্মদিন পালন করা লিভারপুল ফরোয়ার্ডের অভাব ম্যাচ জুড়ে অনুভব করেছে এক্তর কুপেরের দল।
সালাহর অনুপস্থিতিতে আক্রমণে শক্তি হারানো মিশর মনোযোগ দেয় রক্ষণে। বেঁধে রাখে উরুগুয়ের দুই তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস ও এদিনসন কাভানিকে। ডি বক্সে সেভাবে বলই পাননি কাভানি। কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে দলকে হতাশ করেন সুয়ারেস।
অষ্টম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেন কাভানি। ডি বক্সে বাইরে থেকে পিএসজি ফরোয়ার্ডের গড়ানো শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মিশরের গোলরক্ষক মোহামেদ এল শেনাউয়ি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার আবার সুযোগ আসে সুয়ারেসের সামনে। এবার দারুণ দক্ষতায় তাকে হতাশ করেন মিশরের গোলরক্ষক।
৭৪তম মিনিটে আবার সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেস। ডি বক্সের ভেতরে তাকে খুঁজে পান কাভানি। এগিয়ে এসে সুয়ারেসের পা থেকে বল কেড়ে নেন এল শেনাউয়ি।
৮৩তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কাভানির বুলেট গতির ভলি ঠেকিয়ে আবার মিশরের ত্রাতা গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর কাভানির ফ্রি-কিক ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে।
ক্রাচ ছাড়াই উঠে পড়ে উদযাপন শুরু করে দেন এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়সী কোচ অস্কার তাবারেস। বেঞ্চে বসা সালাহর মুখে তখন একরাশ হতাশা।
পাঁচ মিনিটের যোগ করা সময়ে গোলটি আর শোধ করতে পারেনি মিশর।