জার্মানির ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্ট বিল্ডের করা জরিপে স্কোয়াডে থাকা ২৩জন খেলোয়াড়ের মত নেওয়া হয়। সেখানেই ইউরোপের দুই দল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার বিষয়টি উঠে এসেছে।
১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের টানা দুটি বিশ্বকাপের জয়ের পর প্রথম দল হিসেবে এবার জার্মানির সামনেও রয়েছে টানা দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ।
জার্মান দলের সমান নয় জন করে খেলোয়াড় স্পেন ও ফ্রান্সকে বড় হুমকি মনে করেন। তিন জন মনে করেন হুমকি ব্রাজিল।
বার্সেলোনায় খেলা মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন ও জার্মানির বুন্ডেসলিগায় খেলা আট জনের দৃষ্টিতে ফ্রান্স জার্মানির লক্ষ্য পূরণের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ।
লাইপজিগের ফরোয়ার্ড টিমো ভেরনার বলেন, “ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সম্পন্ন খেলোয়াড়ের দিক থেকে আমার কাছে ফ্রান্স সবচেয়ে শক্তিশালী।”
ইউরোপের অন্য লিগে খেলা খেলোয়াড়দের অধিকাংশের চোখে স্পেন জার্মানির জন্য বড় বাধা। রিয়াল মাদ্রিদের টনি ক্রুস, ইউভেন্তুসের স্যামি খেদিরা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ইলকাই গিনদোয়ান, মেসুত ওজিল, আন্টোনিও রুডিগার ও পিএসজির ইউলিয়ান ড্রাক্সলার বেছে নিয়েছেন ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
স্পেনকে বড় হুমকি মনে করার কারণ হিসেবে খেদিরা বলেন, “তাদের অবিশ্বাস্য শক্তিশালী একটা রক্ষণভাগ আছে। চমৎকার একজন গোলরক্ষক এবং ভয়ঙ্কর একটা আক্রমণভাগ আছে।”
“স্পেনের এখনও অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে আর এর সঙ্গে তাদের অনেক দারুণ মেধাবী খেলোয়াড় আছে। জার্মানির মতো উচ্চমানের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য সম্পন্ন খেলোয়াড় আছে।”
বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড টমাস মুলার, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস ও পিএসজি গোলরক্ষক কেভিন ট্রাম্প-এই তিন জন বড় হুমকি হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে।