ভিয়েনায় রোববার ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে তিতের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। অষ্টাদশ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেন নেইমার। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া পিএসজির ফরোয়াড়ের শট গ্লাভসে জমান গোলরক্ষক।
অতিথিদের আক্রমণের ঝাপটা সামলে ব্রাজিলের রক্ষণকে কিছুক্ষণের জন্য বেশ চাপে রাখে অস্ট্রিয়া। ২০তম মিনিটে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলেসান্ড্রো। পরের মিনিটে ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভার নৈপুণ্যে বেঁচে ব্রাজিল। ২২তম মিনিটে মার্কো আর্নাতোভিচের চেষ্টা একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
একটি কর্নার অস্ট্রিয়ার এক খেলোয়াড় হেড করে বিপদমুক্ত করতে গেলে ডি বক্সের বাইরে পেয়ে যান মার্সেলো। একটু সময় নিয়ে জোরালো শট নেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার। বল এক জনের গায়ে লাগলে ডি বক্সে পেয়ে যান অরক্ষিত জেসুস। একটু এগিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
দুর্দান্ত এই গোলে নেইমার জানান দিলেন বিশ্বকাপের জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। এই গোলের সুবাদে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোমারিওর সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। দেশের হয়ে দুই জনেরই গোল ৫৫টি।
বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যে কৌতিনিয়োর গোলে অবদান রাখেন ফিরমিনো। লিভারপুল ফরোয়ার্ডের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড কৌতিনিয়ো। ৬৯তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
সাড়ে তিন মাস পর কোনো ম্যাচের প্রথম থেকে খেললেন নেইমার। গত রোববার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বদলি হিসেবে প্রথম মাঠে নামেন এই ফরোয়ার্ড। ২-০ ব্যবধানে জেতা ওই ম্যাচে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
আগামী ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করবে ব্রাজিল। ‘ই’ গ্রুপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোস্টা রিকা ও সার্বিয়া।