মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ড্র করলেও ২০১২ সালের পর লিগের শিরোপা স্বাদ পেত মোহামেডান। তৃতীয় মিনিটের আক্রমণ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় তারা। রাসেল মাহমুদ জিমির হিট ফিরে আসার পর ফিরতি সুযোগ কাজে লাগান গুরজিন্দর সিং। একটু পর আশরাফ সাইদের বাড়ানো বলে পুস্কর ক্ষীসা মিমোর হিট ফিরিয়ে মেরিনার্সকে সমতায় ফিরতে দেননি গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন।
দশম মিনিটে ফিরতি আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। গোলরক্ষক অসীম গোপকে একা পেয়েও গুরজিন্দরের নেওয়া জোরালো হিট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। একটু পর পেনাল্টি কর্নারের সুযোগও নষ্ট হয় মোহামেডানের।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর দিকে মেরিনার্সের সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি নষ্ট হয়। ৪১তম মিনিটে মহসিন আহমেদের হিট শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে ফেরান অরবিন্দর সিং। বল গোললাইন অতিক্রম করেছে দাবি করে রিভিউয়ের আবেদন করে মেরিনার্স। রিভিউয়ের ফল তাদের পক্ষে যায়নি।
৪৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে মেরিনার্স। সার্কেলের অনেক বাইরে থেকে রেজাউল করিম বাবুর হিটে শফিউল আলম শিশিরের ফ্লিক করে জালে পৌঁছে দেন। আম্পায়ার গোলের বাঁশি বাজানোর পর শিশিরের স্টিকে বল লাগেনি দাবি করে মোহামেডান। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে এক পর্যায়ে দুই বিদেশি আম্পায়ার মাঠ ছেড়ে চলে যান। রিভিউয়ে গোল মেরিনার্সের পক্ষে যাওয়ার পর শুরু হয় হট্টগোল।
পরে গোল মেনে নিয়ে মাঠে ফিরে মোহামেডান। কিন্তু নির্ধারিত ১০ মিনিট পেরিয়ে ১৮ মিনিট হয়ে যাওয়ায় মেরিনার্স খেলতে আপত্তি জানায়। শেষ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার অপেক্ষার পর দুই আম্পায়ার চূড়ান্তভাবে মাঠ ছেড়ে চলে যান।
এ ম্যাচ নিয়ে ম্যাচ কমিশনার নাজিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ম্যাচটি এখন ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারে লিগ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।”
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ইচ্ছা করলে দুই দলই ম্যাচটা শেষ করতে পারত। এখন ম্যাচটা ঝুলে থাকল। লিগ কমিটি আম্পায়ারদের রিপোর্ট নিয়ে বসবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেবে।”
বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে সোনালী ব্যাংক ৫-১ গোল অ্যাজাক্স এসসিকে হারায়।