২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে গোল খেয়ে শিরোপাবঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। তাদেরকে কাঁদিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে জার্মানি। কষ্টের সে স্মৃতি এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় ওই দলে থাকা মার্কোস রোহোকে। তাই যে কোনো মূল্যে এবার বিশ্বসেরার মুকুট তার চাই-ই চাই।
আর্জেন্টিনার এই ডিফেন্ডারের মতে, এবারের লড়াইটা অনেকটা তাদের নিজেদের সঙ্গেই। দল হিসেবে জ্বলে উঠে দেশের মানুষকে দিতে চান উৎসবের উপলক্ষ্য।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ম্যাগাজিন ‘ইনসাইড ইউনাইটেড’ কে রোহো বলেন, “অবশ্যই, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং যেকোনো আর্জেন্টাইনের জন্য এই জার্সি পরাটা অনেক বড় ব্যাপার। আমরা এটা সত্যিই খুব অনুভব করি এবং আমরা এর জন্য লড়বো।”
“আমরা যখন এটা পরি তখন আমরা সবটুকু দেই। গত বিশ্বকাপে বিষয়গুলো যেভাবে ঘটেছে এবার তা পুষিয়ে নিতে চাই আমরা। সমর্থকদের আবারও ট্রফি জয় উদযাপনের উপলক্ষ্য দিতে সবকিছু করব আমরা।“
২০১৮ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মাত্র চার ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে। আর চেলসির বিপক্ষে এফএ কাপ ফাইনালে দলেই ছিলেন না তিনি। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই তার। রাশিয়ায় দারুণ কিছু করতে আশাবাদী রোহো।
১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। 'ডি' গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।
সুপার ঈগল বরাবরই আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। সঙ্গে শক্তিশালী মাঝমাঠের দল ক্রোয়েশিয়া ও ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত খেলা আইসল্যান্ড থাকায় এবারের আসরে এটা অন্যতম শক্তিশালী গ্রুপ। তবে তাতে চিন্তিত নন রোহো। আর সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি দলে থাকায় আরও বেশি আশাবাদী তিনি।
“আমার মনে হয়, এবার নিয়ে তিন-চার বার আমরা নাইজেরিয়ার সঙ্গে একই গ্রুপে পড়লাম। এবং এটা একটা কঠিন গ্রুপ। ক্রোয়েশিয়া ও আইসল্যান্ডও আছে। আশা করি, লিওনেল মেসি ছন্দে থাকবে এবং আমাদের জন্য কিছু করতে পারবে।”