ক্লাব ফুটবলে সিনিয়র ক্যারিয়ারের পুরোটা বার্সেলোনায় কাটিয়ে দিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়। জিতেছেন অনেক শিরোপা; করেছেন ৫৫২টি গোল। তবে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে মেসির যোগাযোগের গুঞ্জন আছে।
তবে মেসি জানান, ইউরোপের আর কোনো ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছা নেই তার, সুযোগ পেলে ফিরে যেতে পারেন স্বদেশের শৈশবের ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েসে।
“সবসময় বলেছি, আমি একসময় আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলব।”
“আমি জানি না, এটা হয়ে উঠবে কি-না। তবে ব্যাপারটা আমার মনে আছে। হলে এটা নিউওয়েলসেই হবে, অন্য কোথাও না। ছয় মাসের জন্য হলেও আমি এটা করতে চাই। তবে আপনি জানেন না, কী ঘটবে।”
“আমি খুবই নিশ্চত যে, ইউরোপে বার্সেলোনাই হবে আমার একমাত্র ক্লাব।”
ক্লাবের হয়ে মৌসুম শেষে মেসি এখন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতলেও দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি মেসি।
টানা তিন বছর তিনটি ফাইনালে উঠেও শিরোপার দেখা পায়নি মেসির আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হারে তারা। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে দুইবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হার মানে দলটি। এর আগে ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালেও উঠেছিল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
নিজ দেশ ছেড়ে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার সুযোগ ছিল মেসির। সেক্ষেত্রে হতে পারতেন ২০১০ সালে দেশটির বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলের সদস্য। তবে বিষয়টা নিয়ে কোনো আফসোস নেই মেসির।
“একদিন আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলাম। সে আমাকে বললো, ‘তুমি স্পেনকে বেছে নিলে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে যেতে।’ তবে বিষয়টা একই রকম নাও হতে পারতো।…আর্জেন্টিনার হয়ে এটা জেতা হবে অসাধারণ কিছু।”