খেলার ধরনের জন্য মেসির সঙ্গে সালাহর তুলনা করছেন অনেকেই। শনিবার ইউক্রেনের কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর বিপক্ষে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন এই মিশরীয়।
বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় শুরু হবে লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে শিরোপা লড়াই।
দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অ্যানফিল্ডে দারুণ অভিষেক মৌসুম কাটানো সালাহ। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত করেছেন ১০ গোল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৩২ গোল করে ভেঙেছেন এক মৌসুমে অ্যালান শিয়েরার, লুইস সুয়ারেস ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর করা সর্বোচ্চ ৩১ গোলের রেকর্ড।
২৫ বছর বয়সী সালাহর অর্জনে মুগ্ধ হলেও গত এক দশকে সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করা মেসি ও রোনালদোর সাথে তুলনা করতে চান না রামোস।
“ক্রিস্তিয়ানো বা মেসির সঙ্গে অন্য খেলোয়াড়দের তুলনা...তারা ভিন্ন কক্ষপথের।”
“সালাহ কি করতে পারে তা দেখানোর জন্য আরেকটা সুযোগ পাচ্ছে আগামীকাল (শনিবার)। সে ক্রিস্তিয়ানো বা মেসির মতো ভালো তা প্রমাণের জন্য তার সামনে আরও অনেক মৌসুম আছে।”
এরই মধ্যে রোনালদো, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড গড়েছেন লিভারপুলের আক্রমণভাগের ত্রয়ী সালাহ, রবের্তো ফিরমিনো ও সাদিও মানে। চলতি মৌসুমে মানের গোল ৯টি। ১০টি করে গোল সালাহ ও ফিরমিনোর। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৩-১৪ মৌসুমে ২৮ গোল করা রিয়াল মাদ্রিদের ‘বিবিসি’ খ্যাত আক্রমণভাগের তিন খেলোয়াড় রোনালদো, বেনজেমা ও বেলকে। তবে শুধু এই ত্রয়ী নয় পুরো লিভারপুল দলেই মনোযোগ রামোসের।
“দারুণ সব দলের বিপক্ষে খেলা, জয়কে আরও মূল্যবান করে তোলে। আমরা ইউভেন্তুস, পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় দলকে হারিয়ে এসেছি। এখন দরকার কাজটা শেষ করা।”
সে লক্ষ্যে শুধু প্রতিপক্ষের আক্রমণত্রয়ী নিয়ে ভাবতে চান না রামোস। তার মতে, লিভারপুল পুরো দলটাই জানে কিভাবে ধৈর্য ধরতে হয় এবং ম্যাচে টিকে থাকতে হয়।
“আমাদের দলটা ছন্দে আছে এবং আমাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে। প্রশংসা বা সমালোচনা যাই আমরা শুনছি সেসব কোন ব্যাপার না।”