২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেন রোনালদো। ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জেতেন পর্তুগাল অধিনায়ক। শনিবার কিয়েভের ফাইনালে পাচ্ছেন পঞ্চম শিরোপা জয়ের সুযোগ।
রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, “এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে পারে। আমরা রোমাঞ্চিত, পুরো দল। যে ইতিহাস গড়ছি আমরা তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারছি না।”
“পরবর্তীতে সবকিছু ঠিক হলে আমরা ইতিহাসের অংশ হবো। আমি আত্মবিশ্বাসী ও ভালো বোধ করছি, আমার সতীর্থরাও ভালো অনুভব করছে। পঞ্চম শিরোপা জয় দুর্দান্ত হবে।”
একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে রিয়াল মাদ্রিদে খেলা উইঙ্গার পাকো গেন্তো। এছাড়া রিয়াল কিংবদন্তি আলফ্রেদো দি স্তেফানো ও হেক্টর রিয়াল এবং এসি মিলানের পাওলো মালদিনি ও আলেসান্দ্রো কস্তাকুর্তা পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছেন।
“ফাইনাল সব সময় বিশেষ কিছু। প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হলে আমি পছন্দ করতাম। লিভারপুলকে আপনার অনেক সম্মান করতেই হবে। আমি বিশ্বাস করি না এটা সহজ কিছু হবে। তারা সেখানে থাকার যোগ্য। তারা আমাকে তিন বা চার বছর আগের মাদ্রিদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আক্রমণভাগের তিনজন... খুব দ্রুত ও শক্তিশালী। আমি সেটা সমীহ করি।”
“কিন্তু মাদ্রিদ সেরা। যখন প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি, তখন আমাদের নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে ১২ ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন রোনালদো। তবে টুর্নামেন্টে নিজের সেরা মুহূর্তটা নির্দিষ্ট করা কঠিন বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা।
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অসাধারণ। আমি এই প্রতিযোগিতা ভালোবাসি। সব সময় আমাদের দারুণ মুহূর্ত আছে। সবই বড় ম্যাচ।”
“পিএসজি, ইউভেন্তুস...আপনাকে সেরার বিপক্ষে খেলতেই হয়। আপনারা চান আমি বলি, বাই সাইকেল কিকটার (ইউভেন্তুসের বিপক্ষে শেষ আটের প্রথম লেগে) কথা। কিন্তু এই ক্লাবে সবই বিশেষ মুহূর্ত। ভুলবেন না, আমি গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে গোল করেছি।”