বিশ্বকাপের জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ মেসি

বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিতে লিওনেল মেসি পুরো ফিট বলে জানিয়েছেন হোর্হে সাম্পাওলি। আর্জেন্টিনা কোচের মতে, শারীরিকভাবে ‘ভালো অবস্থায়’ আছেন বার্সেলোনা তারকা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2018, 12:39 PM
Updated : 22 May 2018, 12:39 PM

চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে স্বপ্ন ভেঙেছিল আর্জেন্টিনার। এবার তা পূরণে মরিয়া দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১৪ জুন শুরু হতে যাওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’তে তাদের প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।

গত বিশ্বকাপে মেসি পুরোপুরি ফিট ছিল না বলে গুঞ্জন আছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, জেরার্দো মার্তিনোর অধীনে বার্সেলোনায় কঠিন একটা মৌসুম কাটানোর পর ফিটনেসের ঘাটতি নিয়েই বিশ্বকাপ দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

চলতি মৌসুমে অবশ্য দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। বার্সেলোনাকে লা লিগা ও কোপা দেল রে জেতাতে দারুণ অবদান রেখে জিতে নিয়েছেন দুটি ব্যক্তিগত পুরস্কারও, পিচিচি ট্রফি ও গোল্ডেন শু। বিশ্বসেরার মঞ্চেও সেরা খেলোয়াড়ের এমন পারফরম্যান্স আশা করছেন সাম্পাওলি।

সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনা কোচ বলেন, “আমি মেসির সঙ্গে কথা বলেছি। দেখেছি, সে বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত। শারীরিকভাবে সে ভালো অবস্থায় আছে।”

হাঁটুর চোটের কারণে এপ্রিল থেকে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মাঠে নামতে পারেননি সের্হিও আগুয়েরো। তবে অস্ত্রোপচারের পর ২৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এখন পুরোপুরি সুস্থ বলে জানিয়েছেন সাম্পাওলি।

“গত সপ্তাহ থেকে সে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করছে। গাব্রিয়েল মের্কাদোরও বড় কোন সমস্যা হবে না।”

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। একসময় ছিটকে পড়ার শঙ্কায়ই পড়ে গিয়েছিল তারা। তবে শেষ ম্যাচে মেসির অসাধারণ এক হ্যাটট্রিকে একুয়েডরকে হারিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় ১৯৮৬ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ জেতা দেশটি।

আক্রমণভাগে বিশ্বের অন্যতম সেরা সব খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও বাছাইপর্বে ধুঁকতে দেখা গেছে দলটিকে। ১৮ ম্যাচে মাত্র ১৯ গোল করেছিল তারা। তবে সাম্পাওলির প্রত্যাশা, এবারের আসরে সেরা রূপে দেখা যাবে তার দলকে। বড় মঞ্চের চাপ সামলে সেরাটা দিতে পারেন এমন খেলোয়াড়দেরই ডেকেছেন বলে দাবি এই আর্জেন্টাইন কোচের।

“বিশ্বকাপে ভয়ডরহীনভাবে খেলতে হবে... নিজেদের খেলা নিয়ে যারা বেশি আত্মবিশ্বাসী তারাই শুরুর একাদশে প্রাধান্য পাবে।”

সাম্পাওলির বিশ্বাস, বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্য পূরণে যা দরকার তা দেওয়ার সামর্থ্য আছে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের।

“আমার লক্ষ্য, দারুণ একটা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা। আমরা যদি মরিয়া হয়ে খেলি, আমরা যে কারো জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ হবো।”