ইউক্রেনের কিয়েভে আগামী শনিবার ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে গত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন জিনেদিন জিদানের দলের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।
শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারলে পাঁচ মৌসুমে চতুর্থ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলবে রিয়াল। বিপরীতে প্রতিযোগিতাটিতে শেষ আট মৌসুমে দ্বিতীয় বারের মতো খেলার সুযোগ পাওয়া লিভারপুল সবার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে উঠেছে ফাইনালে।
তারকা সমৃদ্ধ রিয়ালের বিপক্ষে লড়াই নিয়ে ভীত নন ২০১৩ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলা ক্লপ। ২০০৪-০৫ আসরের ফাইনালে লিভারপুলের রোমাঞ্চকর জয়কে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী এই কোচ।
"হ্যাঁ, রিয়াল ফেভারিট। তারা সবকিছুই জানে, তারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে নিতে পারে। কারণ শেষ পাঁচ মৌসুমে চতুর্থ বারের মতো তাদের এই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে।"
"গত কয়েক বছরে এই প্রতিযোগিতায় আধিপত্য দেখানো তিনটা ক্লাব আছে। আমরা তাদের একটির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। তাতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। নিজেদেরকে আন্ডারডগও মনে হচ্ছে না।"
২০০৫ সালের ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই তিন গোল খেয়ে বসেছিল লিভারপুল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সাত মিনিটের মধ্যে তিন বার বল জালে জড়িয়ে ম্যাচে সমতা টানে তারা। পরে টাইব্রেকারে জিতে মুকুট পরেছিল ক্লাবটি।
"রিয়াল মাদ্রিদ উঁচু মানের একটা দল, যারা টানা তৃতীয় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে লড়বে। তবে আমরা লিভারপুল। বিষয়টা ভুলে গেলে চলবে না।"
ফাইনালে অধিক অনুপ্রাণিত দলই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন লিভারপুলে প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে থাকা ক্লপ।
"কাদের আকাঙ্ক্ষা বড় শেষ পর্যন্ত সেটারই পরীক্ষা হবে। আগেরবার রিয়াল যে দল নিয়ে জিতেছে প্রায় সেই দলটাই এখনও আছে। এমনটা খুবই বিরল।"
"তারা এটা আবারও জিততে চাইবে। তবে আমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করব। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ফাইনালে যেকোনো কিছুই সম্ভব।"