মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুক্রবার ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে মেরিনার্সকে এগিয়ে নেন চয়ন। মোহাম্মদ জুলহাইরির পুশ স্টপ করার পর সার্কেলে ঢুকে জোরালো হিটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ডিফেন্ডার। নবম মিনিটে কৌশিক কোনাকুনি হিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
২০তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান কৌশিক। জুলহাইরির পুশ এক সতীর্থ স্টপ করার পর এই মিডফিল্ডারের হিটে ফের পরাস্ত গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর পেনাল্টি কর্নারে হাসান যুবায়ের নিলয়ের পুশ নাইম উদ্দিন স্টপ করার পর জোরালো হিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন চয়ন। ৪৪তম মিনিটে নাইমের গোলমুখ থেকে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বাংলাদেশ এসসির রবিন্দর সিং।
৫৮তম মিনিট আজিজুল ইসলামের ফিল্ড গোলের তিন মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন চয়ন। নিলয়ের পুশ আজিজ স্টপ করার পর জোরালো হিটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ডিফেন্ডার। ৬৫তম মিনিটে জুলহাইরির পুশ পরমপ্রিত সিং স্টপের পর নিখুঁত হিটে স্কোরলাইন ৮-১ করার সঙ্গে নিজের চতুর্থ গোলটিও করেন চয়ন।
টানা অষ্টম জয় মোহামেডানের
মোহামেডানের জয়ে হ্যাটট্রিক করেন গুরজিন্দর সিং ও নাসির হোসেন।
তৃতীয় মিনিটে পিসি থেকে গুরজিন্দর সিং মোহামেডানকে এগিয়ে নেন। অষ্টম মিনিটে ডান দিক থেকে জিমির বাড়ানো বল শমসের সিং হিট করার পর গোলমুখ থেকে আলতো টোকায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গুরজিন্দর।
ত্রয়োদশ মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রাজীব দাস একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নিখুঁত হিটে সোনালী ব্যাংককে ম্যাচে ফেরা গোল এনে দেন। ৩১ তম মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ফজলে হোসেন সোনালী ব্যাংককে সমতায় ফেরান।
এরপর ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সোনালী ব্যাংক। অন্যদিকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে ছয় গোল তুলে নেয় মোহামেডান। ৪১তম মিনিটের ফিল্ড গোল হ্যাটট্রিক পূরণ করেন গুরজিন্দর। ৪২তম মিনিটে গোলের খাতা খেলা নাসির ৪৬ ও ৫২তম মিনিটের গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। শেষ দিকে অরবিন্দর সিং ও নাসিরের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
লিগে এ পর্যন্ত খেলা আট ম্যাচের সবগুলোই জেতা আরেক দল আবাহনী লিমিটেড।