বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বাদশ মিনিটে টুটুল হোসেন বাদশাকে কাটিয়ে সুনীল ছেত্রির নেওয়া শট রুখে দিয়ে আবাহনীর ত্রাতা গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। অবশ্য শহীদুল বল ফেরালেও পুরোপুরি গ্রিপে নিতে পারেননি; দ্রুত বিপদমুক্ত করেন বাদশা।
ছেত্রির আক্রমণ ফেরানোর পর প্রতিআক্রমণে উঠেছিল আবাহনী কিন্তু গোল মেলেনি। উল্টো ফিরতি আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ছেত্রির বাড়ানো ক্রসে দানিয়েল লুকাসের প্লেসিং শট চোখের পলকে জালে জড়ায়। পঞ্চদশ মিনিটে নিশু কুমারের ডান পায়ের শট ঠিকানা খুঁজে পেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
৫৮তম মিনিটে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে আবাহনী। ডি বক্সের বাইরে থেকে ছেত্রির চিপে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বুক দিয়ে নামিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন নিশু। পরের মিনিটে ছেত্রির শটে শহীদুল পরাস্ত হলে স্কোরলাইন ৪-০ হয়।বাকিটা সময়ও নিষ্প্রাণ খেলে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
‘ই’ গ্রুপে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল আবাহনী। ছয় ম্যাচে চার হার ও একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে এএফসি কাপ শেষ করল বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ পর্বে আবাহনীর একমাত্র জয় (৩-০) এবং একমাত্র ড্রও (১-১) ভারতের দল আইজল এফসির বিপক্ষে পাওয়া।