শনিবার রাতে ৬-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। বেলের জোড়া গোলের পর একবার করে জালে বল পাঠান ইসকো, টনি ক্রুস ও আশরাফ হাকিমি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
চলতি আসরে এটা যৌথভাবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। এর আগে লাস পালমাসকে ৬-০ গোলে হারায় জিরোনা। দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে রিয়াল জেতে ৭-১ গোলে।
সেভিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারের পর নিয়মিত খেলোয়াড়দের প্রায় সবাইকে ফেরান জিনেদিন জিদান। আগের ম্যাচে সাদামাটা ফুটবল খেলা রিয়ালকে এদিন দেখা যায় স্বরূপে।
চোটের জন্য বাইরে থাকা রোনালদোর অভাব বুঝতে দেননি বেল, ইসকোরা। ষষ্ঠ মিনিটে গোলে প্রথম শট নেয় স্বাগতিকরা। আশরাফের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সেল্তা গোলরক্ষক সের্হিও আলভারেস।
কেইলর নাভাসের গোল কিক থেকে বল পান লুকা মদ্রিচ। তার ডিফেন্স চেরা পাস খুঁজে পায় বেলকে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার কোনাকুনি শট কাছের পোস্টের ভেতরে দিকে লেগে জালে জড়ায়।
২৭তম মিনিটে বেলের ফ্রি-কিক এক জনের গায়ে লেগে দিক পাল্টে ঢুকে যাচ্ছিল জালে। তবে গতি কম থাকায় ঝাঁপিয়ে সেবার দলকে বাঁচাতে পারেন আলভারেস।
৩০তম মিনিটে আর পারেননি সেল্তা গোলরক্ষক। নিজেদের অর্ধ থেকে ইসকোর দারুণ ক্রস খুঁজে পায় বেলকে। কাট ব্যাক করে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দেওয়ার পর বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
দুই মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান ইসকো। ত্রুসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান এই স্প্যানিশ ফরোযার্ড।
প্রথমার্ধে দুইবার গোলের খুব কাছে গিয়েও গোল না পাওয়া আশরাফের অপেক্ষা শেষ হয় ৫২তম মিনিট। প্রতি আক্রমণ থেকে আরেকটি গোলে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল।
একের পর এক আক্রমণের সুফল পেতে বেশি দেরি হয়নি রিয়ালের। আসেনসিওর নিচু ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ৭৪তম মিনিটে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্হি গোমেস।
৮১তম মিনিটে ব্যবধান ৬-০ করে ফেলেন ক্রুস। বোর্হা মায়োরালের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন জার্মান মিডফিল্ডার। ঝাঁপিয়ে গোলরক্ষক ঠেকাতে পারেননি তার শট। গোল লাইনে থাকা ডিফেন্ডারও পারেননি দলকে বাঁচাতে।
তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরে মদ্রিচের শট।
এই জয়ে অন্তত তিনে থেকে লিগ শেষ করা নিশ্চিত করল রিয়াল। ৩৭ ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭৫। সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে চারে ভালেন্সিয়া।
দিনের অন্য ম্যাচে কোকের একমাত্র গোলে গেটাফেকে হারিয়ে রানার্সআপ হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৮।
আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৯০, এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।