নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে ৩-২ গোলে জিতেছে সেভিয়া। গত মৌসুমেও নিজেদের মাঠে লিগে রিয়ালকে হারিয়েছিল দলটি।
লিগে প্রথম দেখায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ৫-০ গোলে সেভিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল রিয়াল। সেই ম্যাচের ক্ষুরধার আক্রমণের কিছুই দেখা যায়নি এদিন। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ইউরোপা কাপে খেলার আশা টিকিয়ে রেখেছে সেভিয়া।
নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল প্রথমার্ধে ছিল ছন্দহীন। আক্রমণে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল; মাঝমাঠে লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুসদের অভাব দারুণভাবে অনুভব করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে দারুণ হেডে লুইস মুরিয়েল বল বাড়ান বেন ইয়েদেরকে। খানিকটা এগিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়া রিয়াল পারেনি আক্রমণের ধার বাড়াতে। উল্টো ৪৩তম মিনিটে আরও পিছিয়ে পড়ে জিদানের শিষ্যরা। স্তেভেন জোনজির শট ঠেকিয়ে দেন রিয়ালের দুই খেলোয়াড়; কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি।
ফরাসি মিডফিল্ডার ফিরতি বল বাড়ান ফাঁকায় থাকা মিগুয়েল লায়ুনকে। মেক্সিকান ডিফেন্ডার গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
৭৬তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা। অনেক ওপর দিয়ে শট নিয়ে হতাশ করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
৮৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় সেভিয়া। লায়ুনের শট বিপদমুক্ত করতে গিয়ে পারেননি রামোস। তার পায়ে লেগে বল জড়ায় জালে। স্কোর লাইন হয় ৩-০। গত মৌসুমেও সেভিয়ার বিপক্ষে ৮৫তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেছিলেন রিয়াল অধিনায়ক।
যোগ করা সময়ে থিও এর্নান্দেজকে সেভিয়ার গাব্রিয়েল মের্কাদো ফাউল করলে আবার পেনাল্টি পায় রিয়াল। এবার বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি রামোস। তাতে ব্যবধান কমে; কিন্তু হার এড়াতে পারেনি রিয়াল।
এই হারে পয়েন্টর দিক থেকে আতলেতিকো মাদিদকে ধরে ফেলার সুযোগ হারাল রিয়াল। ইস্পানোয়েলের কাছে ২-০ গোলে হারা আতলেতিকো ৩৬ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিয়াল।
আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনা দিনের অন্য ম্যাচে ৫-১ গোলে হারিয়েছে ভিয়ারিয়ালকে। এরনেস্তো ভালভেরদের দলের পয়েন্ট ৯০। রিয়ালকে হারিয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে উঠে এলো সেভিয়া।