২০১৫ সালের অক্টোবরে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক কোচ ক্লপ অ্যানফিল্ডে পা রাখেন। প্রায় আড়াই বছরে মোহামেদ সালাহর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কেনাসহ লিভারপুলের জন্য অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন এই জার্মান। ক্লাবের বয়সভিত্তিক ব্যবস্থাতেও অবদান রেখেছেন ক্লপ।
গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সেরা চারে জায়গা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এগারো বছর পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে লিভারপুল।
ইউরোপ সেরা ক্লাবের এই লড়াইয়ে শুরুতে লিভারপুলকে কেউ হিসাবে না রাখলেও কিভাবে ক্লপের তত্ত্বাবধায়নে ফাইনালে পৌঁছেছে দল তা তুলে ধরেছেন অধিনায়ক হেন্ডারসন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “দলে নতুন খেলোয়াড়কে এনে কোচ ড্রেসিং রুমে সত্যি বিশেষ কিছু সৃষ্টি করেছে।”
“তার মতো কোচ থাকায় আমরা নিজেদের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত মনে করছি এবং আমরা তার থেকে অনেক কিছু শিখছি। আশা করি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আমরা সফল হতে পারব।”
“দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় কিন্তু আমরা প্রত্যাশা করি বড় কিছু। আমরা আশা করেছিলাম ফাইনালে ওঠার। সমালোচকরা হয়ত ভাবেননি কিন্তু আমরা দল হিসাবে করেছি। আমি মনে করি ফাইনালে আমরা অনেক মানুষকে ভুল প্রমাণ করতে পারব।”
২৬ মে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। আয়াক্স ও বায়ার্ন মিউনিখের পর তৃতীয় দল হিসেবে টানা তিনবার ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার হাতছানি স্প্যানিশ পরাশক্তিদের সামনে। তবে পরিসংখ্যান নিয়ে না ভেবে রিয়ালের বিপক্ষে সমানে সমান লড়তে চান লিভারপুল অধিনায়ক।
“রিয়াল মাদ্রিদের দারুণ সব খেলোয়াড় আছে এবং তারা দুর্দান্ত দল। তাদের বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে। কিন্তু টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত আমরা দারুণ সব দলের সাথে খেলেছি।”
“আমি মাদ্রিদের খেলা অনেক দেখেছি এবং তাতে আমার উপলব্ধি, আমরা তাদের আক্রমণ করতে পারব। কিন্তু আমাদের সেরা রূপে থাকাটা দরকার হবে।”