মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষ হয় ২-২ সমতায়। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতা রিয়াল ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ওঠে ফাইনালে। ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে খেলতে নামবে প্রতিযোগিতাটির গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
২০১৬ সালে জিদান রিয়ালের কোচের দায়িত্বে আসার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থেকে আর বিদায় নেয়নি স্পেনের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। প্রতিযোগিতাটিতে অবিশ্বাস্য সাফল্যে দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ৪৫ বছর বয়সী এই কোচ।
বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে জিদান বলেন, “আমাদের সামনে এখন শুধুই ফাইনাল। আমাদের অবশ্যই খুশি হতে হবে। টানা তিনবার ফাইনালে যাওয়াটা সাধারণ ঘটনা নয়। এটা স্বাভাবিক নয়।”
“এখন আমাদের এটা জয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমরা আমাদের সম্ভাব্য সবকিছুই দেব। যে কোনো মূল্যে শিরোপা ধরে রাখতে লড়বো। টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে যাওয়া দারুণ বিষয়।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের এমন দাপট নতুন কিছু নয়, পূর্বসূরিদের দেখানো পথ ধরেই শিষ্যরা হাঁটছে বলে মনে করেন জিদান।
“এটা শুধু এই দলের ক্ষেত্রেই নয়, এটা এই ক্লাবের। এটা অনেক আগে থেকে আসা ইতিহাস। আমাদের আগে যারা এমনটা করেছিল আমরা তাদের মতোই ইতিহাস লিখছি।”
“আমরা এটা করে যাচ্ছি। আমরা খুশি। রিয়াল মাদ্রিদ কখনই হাল ছাড়ে না। এমনকি নানা সমস্যার মাঝেও।”
ফিরতি লেগে দারুণ খেলেছেন রিয়াল স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। মূলত তার জোড়া গোলেই ফাইনালে ওঠার রসদ পায় মাদ্রিদ শহরের দলটি। চলতি মৌসুমে মাত্র ১১ গোল করা স্বদেশি এই শিষ্যর পারফরম্যান্সে খুশি জিদান।
“একজন খেলোয়াড় হিসেবে করিম কতটা ভালো, গত বছরের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে সে তা দেখিয়েছে। সে কখনই হাল ছাড়ে না। তাকে নিয়ে আমি খুশি।”