সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালের রোমাঞ্চকর দ্বিতীয় লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়। এর আগে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতা রিয়াল ৪-৩ অগ্রগামিতায় ফাইনালে ওঠে। ২৬ মে কিয়েভের ফাইনালে স্প্যানিশ পরাশক্তিদের প্রতিপক্ষ লিভারপুল অথবা রোমা।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই জসুয়া কিমিচের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আট মিনিট পর স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই গোলরক্ষক স্ভেন উলরাইশের মারাত্মক ভুলে দ্বিতীয় গোল পান বেনজেমা। ৬৩তম মিনিটে ম্যাচে সমতা আনেন হামেস রদ্রিগেস। বাকি সময়ে রিয়ালের রক্ষণে একচেটিয়া চাপ ধরে রেখেও তৃতীয় গোলের দেখা পায়নি সফরকারীরা। ইউরোপ সেরার মঞ্চে রিয়ালের বিপক্ষে টানা পাঁচ হারের বৃত্ত ভাঙলেও ফাইনালে পা রাখতে তাই ব্যর্থ ইয়ুপ হাইনকেসের দল।
সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের পর রামোস বলেন, “যখন আপনার একটা অনুকূল ফল থাকবে, অবচেতনভাবে আপনি পিছিয়ে যাবেন।”
“তারা বল দখলে আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। আমরা ভুগেছি কিন্তু সব মিলিয়ে দল কিয়েভে থাকার যোগ্য।”
“রিয়ালের ডিএনএ আপনাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়তে শেখায়। ফাইনালে আমরা খুব কঠিন একটা প্রতিপক্ষ পেতে যাচ্ছি। মানুষ কথা বলতেই থাকুক। আমরা মাঠে করে দেখাতেই পছন্দ করি।”
“এই দলের জন্য আমি গর্বিত। তারা একটা দারুণ দল এবং বহু বছর ধরেই সেটা দেখিয়ে চলেছে। যখন আপনি আপনার পক্ষে থাকা একটা ফল (প্রথম লেগে) নিয়ে খেলেন, কখনও কখনও তেমন ঘটে।”
অধিনায়কের সাথে একমত সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দারুণ খেলা রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। এই কোস্টা রিকার এই খেলোয়াড় বলেন, “আমরা অনেক ভুগেছি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা ফাইনালে। এটাই আমরা চেয়েছিলাম। আমরা ইতিহাস লিখছি।”
“তাদের আক্রমণে ওঠার কোন বিকল্প ছিল না। তারা দারুণ একটা দল। ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদের খেলোয়াড়রা পার্থক্য তৈরি করেছে। এই জয় সবার জন্য। আমাদের উপভোগ করতে হবে এবং সবাইকে আনন্দ দিতে হবে।”