মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ইতালির ক্লাবটিকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। বড় ব্যবধানে হারলেও শেষ দিকে পাওয়া মুল্যবান দুটি অ্যাওয়ে গোল আশা জোগাচ্ছে বার্সেলোনাকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা রোমাকে।
শুরু থেকে ঢিমেতালে চলা ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আচমকা গোল খেতে বসেছিল লিভারপুল। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে আলেকসান্দার কোলারভের বুলেট শটের গতি-প্রকৃতি ঠিকমতো বুঝতে পারেননি জার্মান গোলরক্ষক লোরিস কারিয়ুস। বল তার হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে।
এরপর থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচে গতি ফিরতে শুরু করে। ২৮তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় লিভারপুল; কিন্তু পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়ে উড়িয়ে মারেন সাদিও মানে। পরের দুই মিনিটে আরও দুটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে আবারও উড়িয়ে মারার পর সালাহর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা লিভারপুল ৩৫তম মিনিটে পায় গোলের দেখা। ফিরমিনোর পাস ধরে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ। বল ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে ভিতরে ঢোকে।
সাবেক দলের বিপক্ষে প্রথম গোলটির মতো এবারও উদযাপন করেননি ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোমায় খেলা মিশরের এই ফরোয়ার্ড।
দুদিন আগে খেলোয়াড়দের ভোটে ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইংল্যান্ডের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সালাহ এই নিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০টি গোল করলেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে ৪৩টি।
একইভাবে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা লিভারপুল ৫৬তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায়। ডান দিক থেকে সালাহর পাস পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মানে।
কিছুক্ষণ পর সাত মিনিটের ব্যবধানে ফিরমিনোর দুই গোলে ফাইনালের পথে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
শেষ ১০ মিনিটে ম্যাচের চেহারা আচমকা পাল্টে যায়। চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল খেয়ে বসে স্বাগতিকরা।
৮১তম মিনিটে নাইনগোলানের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পোস্ট ঘেঁষে লক্ষভেদ করেন এদিন জেকো। বার্সেলোনার বিপক্ষে দুই লেগেই গোল করেছিলেন বসনিয়ার এই স্ট্রাইকার।
আর ৮৫তম মিনিটে স্পট কিকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিয়েগো পেরোত্তি। নাইনগোলানের শট ডি-বক্সে মিলনারের হাতে লাগলে পেনাল্টিটি পায় অতিথিরা।
আগামী বুধবার রোমার মাঠে হবে ফিরতি পর্ব।