রিয়ালের ‘দুর্বলতা’ কাজে লাগাতে চায় বায়ার্ন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের আগে রিয়াল মাদ্রিদের দুর্বলতা চোখে পড়েছে টমাস মুলারের। বায়ার্ন মিউনিখ অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী রিয়ালের টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন থামাতে পারবে তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2018, 09:15 AM
Updated : 24 April 2018, 09:22 AM

বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাতে পৌনে একটায় সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।

পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই টানা ষষ্ঠ বুন্ডেসলিগা শিরোপা নিশ্চিত করা বায়ার্নের চোখ দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্ডেসলিগা, জার্মান কাপ) জয়ে। ইয়ুপ হাইনকেস কোচের দায়িত্বে ফেরার পর অক্টোবর থেকে ৩৬ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে হেরেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

সাংবাদিকদের মুলার বলেন, “আমরা মাদ্রিদের সামর্থ্য নিয়ে সচেতন। আমাদের অবশ্যই তাদের আক্রমণ করতে হবে। গোল অবশ্যই করতে হবে এবং রিয়ালের দুর্বলতাগুলো কাজে লাগাতে হবে।”

“তারা ইউভেন্তুসের কাছে দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে হেরেছে। এর মানে তারাও ভেঙে পড়ে। আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি।”

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্প্যানিশ পরাশক্তিদের বিপক্ষে বায়ার্নের শেষ সুখস্মৃতি ২০১১-১২ মৌসুমে। সেমি-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতার পর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছিল জার্মান ক্লাবটি। এরপর টুর্নামেন্টে চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। সবকটিতেই হেরেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ গতবারের কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই লেগ মিলে ৬-৩ গোলে হার। তবে এই অতীতে মনোযোগ দিতে রাজি নন দলের পোলিশ স্ট্রাইকার রবের্ত লেভানদোভস্কি।

“এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি ফাইনাল। আপনি যদি ভয় নিয়ে খেলেন, আপনার কোনো সম্ভাবনাই নেই।”

“আপনাকে অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে আপনি রিয়ালকে হারাতে পারবেন। খুব সহজভাবে নেওয়ার কিছু নেই কিন্তু নির্ভার থাকতে হবে।”

“গতবছর ভিন্ন এক অবস্থা ছিল। আমি পুরো ফিট ছিলাম না এবং ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে পারিনি। ছিটকে যাওয়াটা ছিল আমাদের দুর্ভাগ্য।”

“কে গোল করলো, আমি পরোয়া করি না, আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে পৌঁছানো।”

২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গোল করা উইঙ্গার আরিয়েন রবেনও লেভানদোভস্কির সাথে একমত। জার্মান একটি দৈনিককে বলেছেন, “শুধু লেভানদোভস্কির চোট নয়, গতবছর আমাদের অনেক সমস্যা ছিল, বিশেষ করে মাদ্রিদে। এমন একটা দল নিয়ে আমরা খেলেছিলাম যার তিন-চার জন খেলোয়াড় ৫০ শতাংশ সুস্থ ছিল। এরপরও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেছিলাম। এ বছর আমরা সবাই সুস্থ আছি।”