বেলমন্ট শুটিং সেন্টারে বুধবার ২২০ দশমিক ৫ স্কোর গড়ে রুপা জেতেন শাকিল। ২২৭ দশমিক ২ স্কোর গড়ে সোনা জিতেছেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল রেপাকোলি।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের জিতু রায় সোনার লড়াইয়ের শুরুতেই ছিটকে পড়েন। তার স্বদেশি ওম মিথারভাল ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।
১০ মিটার পিস্তলের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডেও ৫৪৫ স্কোর গড়ে চতুর্থ হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন গত এসএ গেমসের এই ইভেন্ট থেকে সোনা জেতা শাকিল।
কোয়ালিফিকেশনে ৫২৮ স্কোর গড়ে দশম হয়ে আটজনের ফাইনালে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের আরেক প্রতিযোগী আনোয়ার হোসেন।
গোল্ড কোস্টে এ নিয়ে দ্বিতীয় পদক জিতল বাংলাদেশ। শুটিংয়েই ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আব্দুল্লাহ হেল বাকি প্রথম রুপাটি পেয়েছিলেন।
ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ফাইনালে ওঠা শাকিল ষষ্ঠ হয়েছিলেন। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে অষ্টম হয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এই শুটার।
১০ মিটার পিস্তলের ফাইনালে উঠে ব্যর্থ হওয়ার হতাশা দূর করতে পেরে খুশি শাকিল। প্রস্তুতি ভালো থাকায় নিজের প্রিয় ইভেন্ট থেকে সাফল্য এসেছে বলে জানান তিনি।
“ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছিলাম। লক্ষ্য ছিল পদক না হোক, আমার যে স্কোরটা ছিল, সেটা করব। আমাদের দলের প্রত্যেকেই তাদের সেরা স্কোর করেছে। কারণ এবার আমাদের প্রস্তুতি খুব ভাল ছিল।”
“১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও আমার ভাল পারফরমেন্স ছিল। কিন্তু ফাইনালের কথা আগে ভাগে কিছুই বলা যায় না। তারপরও আমি চেষ্টা করেছিলাম। ৫০ মিটার পিস্তল আমার মূল ইভেন্ট; আশা করেছিলাম এখানে ভাল কিছু করবো। এখানে যেটা চেয়েছি সেটাই করতে পেরেছি বাছাইপর্বেও, ফাইনালেও।”
১৯৯০ সালের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনির হাত ধরে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত ইভেন্টের স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। এতদিন পর কমনওয়েলথ গেমসের পিস্তল ইভেন্ট থেকে রুপা এলো শাকিলের হাত ধরে। তরুণ এই শুটার জানালেন ভারতের গুয়াহাটিতে হওয়া গত এসএ গেমসে সাফল্য পাওয়ার পরই লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছিলেন।
“২০১৬ সালের এসএ গেমসে প্রথম স্বর্ণপদক জিতি। তখন থেকেই কমনওয়েলথ গেমসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম। সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করি ভাল কিছু করার জন্য। ফেডারেশন থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি। যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। এজন্য ফেডারেশনের কাছে কৃতজ্ঞ আমি।”