শেষ আটের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার ৩-০ গোলে জিতে ইউসেবিও দি ফ্রান্সেসকোর দল। গত সপ্তাহে কাম্প নউয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরাইন ৪-৪ হলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়ে গেল রোমা।
প্রথমবারের মতো প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে হারের ধাক্কা কাটিয়ে প্রতিযোগিতার শেষ চারে ওঠার কীর্তি গড়লো রোমা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠলো ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনাল খেলা দলটি।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার বিপক্ষে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে তিন গোল করলেন জেকো।
এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে তারা কোণঠাসা করে ফেলে বার্সেলোনাকে। এরই মাঝে ২৯তম মিনিটে ফাঁকায় ক্রস পেয়ে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ফাজিওর নেওয়া হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় অতিথিরা।
খানিক পর পাত্রিক সিক ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নিতে দেরি করেন। ৩৭তম মিনিটে চেক রিপাবলিকের এই ফরোয়ার্ডের হেড কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রপটে পরিবর্তন আসেনি। তার মাঝে ৫৮তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দে রস্সি। ডি-বক্সে জেকোকে ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় রোমা। হলুদ কার্ডও দেখেন স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক।
৭০তম মিনিটে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার দে রস্সির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নয় মিনিট পর আলেস্সান্দ্রোর ফ্লোরেন্সির গোলমুখে বাড়ানো বিপজ্জনক ক্রসে কোলারভের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন।
তবে শেষ পর্যন্ত দলকে বাঁচাতে পারেননি জার্মান গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে দারুণ কোনাকুনি হেডে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন গ্রিক ডিফেন্ডার কোস্তাস মানোলাস। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইনে সমতা। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দেয় কাম্প নউয়ে এদিন জেকোর করা গোলটি।
কাম্প নউয়ে আত্মঘাতী গোল করে খলনায়ক হয়েছিলেন দে রস্সি ও মানোলাস। ঘরের মাঠে গোল করে তারাই এখন নায়ক।
পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা এই নিয়ে টানা তিন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়লো। সবশেষ ২০১৪-১৫ আসরে এর শিরোপা জিতেছিল তারা।