রোববার বেলমন্ট শুটিং সেন্টারে ২৪৪.৭ স্কোর করে রুপা জেতেন গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা বহন করা বাকি। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ডেইন স্যাম্পসন গেমস রেকর্ড ২৪৫ স্কোর করে সোনা জেতেন। ভারতের রবি কুমার পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।
বাকি কোয়ালিফিকেশনে ৬১৬ স্কোর করে ষষ্ঠ হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছিলেন। বাংলাদেশের আরেক প্রতিযোগী মো. রাব্বি হাসান মুন্না ৬০৭.৬ স্কোর করে কোয়ালিফিকেশনে চতুর্দশ হন।
কমনওয়েলথ গেমসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রুপা জিতলেন বাকি। ২০১৪ সালে গ্লাসগোতেও রুপা পেয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই শুটার।
একই দিনে হওয়া মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে বাংলাদেশের কোনো প্রতিযোগী ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে পারেননি।
কোয়ালিফিকেশনে আরদিনা ফেরদৌস নবম ও আরমিন আশা সপ্তদশ হন। ফাইনালে উঠে প্রথম আট প্রতিযোগী।
শেষ রাউন্ডের শেষ শট নিয়ে বাকি বলেন, “শুধু চিন্তা করেছি পারফেক্ট শটটা করার। যদিও ওর লাস্ট শটটা আমি দেখে ফেলেছিলাম ভুলবশত। সেটাই আমার মাথায় ঘুরছিল। তবুও চেষ্টা করেছিলাম।”
লড়াই করেই কমনওয়লথ গেমসের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাকি। ফাইনালে দারুণ খেলেও শেষ পর্যন্ত সোনা জেতা হলো না তার।
“১০ মিটারই আমার খেলার কথা ছিল না। অনেক কষ্ট করার পরে, পারফরম্যান্স দেখানোর পরে নির্বাচিত হয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে একটা চাপ ছিল। এরপরও চেষ্টা করেছিলাম নিজের সেরাটা দিতে। এখানে অনেক শক্তিশালী প্রতিযোগী ছিল। অস্ট্রেলিয়ানরা শক্তিশালী, ব্রিটিশরাও; ভারত তো আছেই। এর উপর গতবার আমি রুপা জিতেছিলাম।”
কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে সব মিলিয়ে সপ্তম পদক জিতল বাংলাদেশ। আগের ছয়টি পদকও শুটিং থেকে আসা, যার মধ্যে সোনা দুইটি
১৯৯০ সালে অকল্যান্ডের আসরে প্রথম সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনির হাত ধরে এসেছিল ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত সেরার পদকটি।
২০০২ সালে ম্যানচেস্টারের আসর থেকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সোনা এনে দিয়েছিলেন আসিফ হোসেন খান। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের সেরা হয়েছিলেন তিনি।