ম্যাচ চলার সময় বমি হওয়ার সমস্যায় লম্বা সময় ধরে ভুগেছেন মেসি। ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড ২০১৪ সালে বুখারেস্টে রোমানিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ চলার সময় একই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে বলেছিলেন, এই সমস্যার মুখোমুখি তাকে সবসময় হতে হয়।
গত বছর বলিভিয়ার বিপক্ষে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু লা পাসে খেলতে গিয়েও একই সমস্যায় পড়েছিলেন মেসি। সাবেক আর্জেন্টিনা কোচ আলেহান্দ্রে সাবেইয়া মেসির সমস্যাকে স্নায়ু সংক্রান্ত বলে দাবি করেছিলেন।
ইতালির এক চিকিৎসক ২০১৫ সালে দাবি করেন, তার চিকিৎসায় মেসির সমস্যার সমাধান হয়। তবে টিভি লা কর্নিসাকে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা জানান, অস্বাস্থ্যকর পানীয় ও স্ন্যাকজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করার পর সমস্যা কেটেছে তার।
“বমির বিষয়ে পরিবর্তনটা আমি সত্যিই ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম। তারা বলেছিল, এটা অনেক কারণে হতে পারে। অবশেষে আমি খাদ্যাভাস বদলালাম এবং বমিটা আর কখনও হয়নি।”
২০১২ সালে প্রথম বাবা হওয়ার পর ব্যর্থতা ও সমালোচনা নিয়ে নিজের মনোভাব বদলেছে বলেও জানান মেসি। তিয়াগো, মাতেও ও সিরো-তিন ছেলের বাবা মনে করেন, ফুটবল ছাড়া ভাবার মতো অনেক কিছু আছে।
“সবকিছু ভুলে থাকার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে বাচ্চা-স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে থাকা। বাকি সব গৌণ।”
“আমি হারতে বা ড্র করতে পছন্দ করি না কিন্তু এটাকে আমি ভিন্নভাবে নিতে শিখলাম। এটা ফলের চেয়ে বেশি কিছু। আপনি সবসময় জিততে পারবেন না। চমক থাকবে।”