শনিবার রাতে বাছাইয়ের ফাইনালে স্বাগতিক ওমানের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। এবারের বাছাইয়ে টানা চার জয়ের পর এই প্রথম হারের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ।
গত এশিয়ান গেমসের বাছাইয়ে ৬-১ গোলে ওমানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়ান গেমসের মূল লড়াইয়ে ওমানের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল দল।
ওমানের কাবোস ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রথম অর্ধে গোলের দেখা মেলেনি। দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিকে আল ফাজারি রাশেদ পেনাল্টি কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
তৃতীয় অর্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ওমান। ৩১তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রাজাব বাসিম খাতার। জিমি-চয়ন-আশরফুলরা ম্যাচে ফেরা গোল এনে দিতে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশকে চারবার হারাল ওমান।
৩৮টি গোল দিয়ে ও ৫টি খেয়ে বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ওমান বাছাই শেষ করল ২২ গোল দিয়ে; বিপরীতে ৪ গোল খেয়েছে তারা।
বাছাইয়ে সেরা হওয়া পাঁচ দল আগামী অগাস্টে ইন্দোনেশিয়ায় হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। বাছাইয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারানো শ্রীলঙ্কা সে টিকেট পেয়েছে। চতুর্থ হয়েও উঠেছে থাইল্যান্ড। পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে মূল আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে চাইনিজ তাইপে।