আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১০টায় ওমানের কাবোস ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাছাইয়ে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যানে এগিয়ে ওমান; ৩টিতে জয়ী তারা। বাংলাদেশের জয় দুটি।
র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ওমানের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে চার ম্যাচে বাংলাদেশ গোল দিয়েছে ৩৮টি, খেয়েছে মাত্র ৩টি। অন্যদিকে ওমান দিয়েছে ২০টি, হজম করেছে ৪টি।
ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে ওমানকে সমীহ করলেও জয়ের প্রশ্নে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ হারুন। দুই দফা পিছিয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কাকে হারানো সেমি-ফাইনালের প্রসঙ্গও উঠে আসে কোচের কথায়।
“আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ফাইনালে উঠব এবং ওমানের মুখোমুখি হব। এখনও আত্মবিশ্বাসী আছি-ফাইনালও জিতব। সেমি-ফাইনালে শ্রীলংকার গোলরক্ষক খুব ভাল করেছিল। আমার এই দলটার বড় শক্তি হলো শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা এবং সে লড়াইয়ের জন্য দরকারি ফিটনেসও ছেলেদের আছে।”
“গত দুই-তিন বছর আগের ওমানের চেয়ে এই ওমান দলটি অনেক উন্নত। এই টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তান, জাপানের সঙ্গে তারা সিরিজ খেলেছে। এর আগে হংকংয়ে গিয়ে চাইনিজ তাইপেকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে খেলেছে।”
গত চার ম্যাচে সে অর্থে আলো ছড়াতে পারেননি অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। রোমান সরকার ৮ গোল করেছেন; আশরাফুল ইসলামের গোল ৫টি; সেখানে দলের সেরা ফরোয়ার্ড জিমির গোল ৪টি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অধিনায়কের কাছে বাড়তি চাওয়াটাও জানিয়ে রেখেছেন কোচ।
“জিমি এখনও আপ টু দ্য মার্ক নয়। ওর কাছ থেকে আরও ভাল আশা করেছিলাম। দেখি ফাইনালে কী করে?”
বাংলাদেশকে সমীহ করছেন ওমানের পাকিস্তানি কোচ তাহির জামান। ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয় বলেও মনে করেন তিনি।
“বাংলাদেশ খুব ভাল দল। হকিপ্রেমীরা খুব ভাল একটা ম্যাচ দেখতে পাবে ফাইনালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ আগে গোল পেলে কিন্তু চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত। তাছাড়া কোন সন্দেহ নেই শ্রীলংকার চেয়ে ওরা অনেক ভালো দল।”
“দেড় মাস ধরে ওমানের এই দলটি নিয়ে কাজ করছি। ছেলেরা আন্তরিকতা নিয়ে লড়ছে। একটা দল হিসেবে খেলছে। আমরা ফাইনালের জন্য তৈরী। ফাইনালে কোন ফেভারিট নেই। যে কেউই জিততে পারে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”