ফরোয়ার্ডদের দিকে তাকিয়ে আবাহনী কোচ

নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে এএফসি কাপের ম্যাচ সামনে রেখে আবাহনী লিমিটেডের কোচ সাইফুল বারী টিটু তাকিয়ে আছেন ফরোয়ার্ডদের দিকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2018, 03:29 PM
Updated : 5 March 2018, 03:29 PM

আগামী বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন নিউ রেডিয়েন্টের মুখোমুখি হবে আবাহনী।

আবাহনীর লিগ শিরোপা জেতায় দারুণ ভূমিকা ছিল বিদেশি ফরোয়ার্ডদের। নাইজেরিয়ার সানডে চিজোবা ৯টি, এমেকা ডারলিংটন ৭টি, গাম্বিয়ার মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডারবো ৩টি গোল করে অবদান রাখেন। ফরোয়ার্ড না হয়েও ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন করেছিলেন ৬ গোল। দেশি ফরোয়ার্ডদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান নাবীব ৪ গোল করেন নেওয়াজ জীবন।

এএফসি কাপে এবার চার বিদেশি খেলানোর সুযোগ পাচ্ছে দলগুলো। সানডে-ল্যান্ডিং-এমেকার সঙ্গে এবার যোগ দিয়েছেন জাপানের মিডফিল্ডার সেইয়া কোজিমা। সোমবার ক্লাব মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ফরোয়ার্ডদের কাছে বাড়তি চাওয়ার কথা জানান টিটু।

“আসলে সবকিছু নির্ভর করছে ফরোয়ার্ডদের ওপর। আমাদের প্রেক্ষাপটে ক্লাব বা জাতীয় দল যার কথাই বলুন না কেন, গোল করতে না পারার অক্ষমতাই শেষ পর্যন্ত আমাদের পিছিয়ে দেয়। টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ম্যাচটার কথাই ধরুন, সাইফ অনেক সুযোগ পেলেও গোল পায়নি। এই না পাওয়টাই ওদের শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল।”

“আমাদের যারা বিদেশি ফরোয়ার্ড আছে এবং স্থানীয় যারা তাদের গোলের সুযোগ তৈরি করে দেয়, তাদের সবাইকে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে। বিশেষ করে হোম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ, এ ম্যাচ জেতার জন্য আমরা শারীরিক ও মানসিক দিকগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

রক্ষণ, আক্রমণভাগ নিয়ে মোটামুটি স্বস্তি থাকলেও আবাহনী কোচের চিন্তুা বাড়িয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার ইমন বাবুর ছিটকে যাওয়া। গত মৌসুমে আবাহনীর সাফল্যে দারুণ ভূমিকা রাখা ইমনের জায়গায় সোহেল রানা নাকি অন্য কাউকে দিয়ে পূরণ করবেন, সেটাই ভাবছেন টিটু।

“আমরা যখন ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু করলাম, ইমনও অনুশীলন শুরু করল। কিছুদিন পরে সে তার সমস্যার কথা জানাল। তাকে নাকি বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। ইমনের না থাকাটা দলের জন্য একটা বড় ক্ষতি। আবাহনী যে স্টাইলে খেলে, সেখানে ও একজন অন্যতম কারিগর।”

“জাতীয় দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ইমনের জায়গায় সোহেল রানাকে নিয়ে চেষ্টা করেছি। আরও কিছু অপশন আছে। যদি আরও ডিফেন্সিভ খেলি, তাহলে ওখানে হয়ত নাসিরউদ্দিন চৌধুরীকে খেলানো যেতে পরে। জাপানি যে খেলোয়াড় এসেছে, সেও ভালো। প্রয়োজনের চেয়ে এক মুহূর্ত সে বল পায়ে রাখে না। যেটা ওয়ান টাচের খেলা, সেটা সে ওয়ান টাচেই খেলে। তার থাকাটা দলের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা।”