ক্যাম্পের প্রস্তুতির সন্তুষ্টি নিয়ে কাতারে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি ক্যাম্প নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2018, 02:50 PM
Updated : 27 Feb 2018, 02:50 PM

আগামী সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে দুই সপ্তাহের জন্য কাতার যাচ্ছে  বাংলাদেশ দল। সেখানে দুই সপ্তাহ প্রস্তুতি নেবে দল।

২৪ জনের দল নিয়ে আগামী বুধবার কাতার রওনা দেবে বাংলাদেশ। দুই সপ্তাহের ট্রেনিং ক্যাম্প শেষে ১৪ মার্চ দেশে ফিরবে তারা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে সংবাদ সম্মেলনে বিকেএসপির ক্যাম্প, কাতার সফর নিয়ে কথা বলেন জাতীয় দলের কোচ অর্ড।

কাতারগামী দলে ঠাঁই হয়নি অনেকের। মতিন মিয়া, পাশবন মোল্লা ও হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস অসুস্থতার কারণে দলের বাইরে। পারফরম্যান্সের কারণে বাদ মিতুল হোসেন, আবু জাহেদ, তকলিস আহমেদ, মোহাম্মদ আরিফ ও ফজলে রাব্বী। চোটের কারণে বিকেএসপির ক্যাম্পে ছিলেন না জুয়েল রানা, জাহিদ হোসেন ও ইয়াসিন খান।

চোট-অসুস্থতায় অনেকে ছিটকে গেলেও বিকেএসপির প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট অর্ড। প্রস্তুতি ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়াটাও বড় কিছু মনে করছেন না তিনি।

“আমরা প্রতিদিন ‍দুই বেলা খুবই ভালো উপায়ে অনুশীলন করেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। গতকালের ম্যাচটি ছিল আমাদের এ পর্বের প্রস্তুতির শেষ ধাপ। ক্লান্তি নিয়ে আমরা খেলোয়াড় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ৪৫ মিনিট করে খেলিয়েছি। কাতারে গিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমরা এগারো বনাম এগারোর খেলায় পুরো মনোযোগ দিব।”

“সব বিভাগে আরও উন্নতির দরকার। প্রস্তুতি ম্যাচে আবাহনী একটা দল হিসেবে খেলেছে, গত লিগ তারা জিতেছে মাত্র চার-পাঁচ জন খেলোয়াড় বদল করে। তারা পুরোপুরি একটা দল কিন্তু আমরা এখনও সেটা হয়ে উঠতে পারিনি। বলতে পারেন, আমরা একদল তরুণ খেলোয়াড় এবং তাদের সঙ্গে কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছে। এই খেলোয়াড়দের ভবিষ্যতে চোখ রেখে লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করতে হবে।”

আগামী ৭ মার্চ এএফসি কাপে ম্যাচ থাকায় আবাহনীর খেলোয়াড়রা বিকেএসপির ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি। কাতারেও যাওয়া হচ্ছে না তাদের। অর্ডের বিশ্বাস, লিগ চ্যাম্পিয়নদের খেলোয়াড়রা যোগ দিলেই দল গুছিয়ে উঠবে। আগামী অগাস্টে ইন্দোনেশিয়ার এশিয়ান গেমস, সাফেও ভালো করবে।

“এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। এ মুহূর্তে আমরা খেলোয়াড়দের মেলে ধরাটা শেখাচ্ছি, যেটা তাদের ইন্দোনেশিয়ায় ভালো করতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্যও ভালো হবে।”