লেগানেসের মাঠে রিয়ালের জয়

মৌসুমের শুরু থেকে বারবার ছন্দ হারানো রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় পেয়েছে টানা তৃতীয় জয়। লেগানেসকে হারিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2018, 07:35 PM
Updated : 21 Feb 2018, 08:16 PM

লিগ টেবিলের ত্রয়োদশ স্থানের দলটিকে বুধবার ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। জানুয়ারিতে এই লেগানেসের কাছে হেরেই কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েছিল জিনেদিন জিদানের দল।

চোটের কারণে আগে থেকেই দলের বাইরে দুই মিডফিল্ডার টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচ ও ডিফেন্ডার মার্সেলো। সঙ্গে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও গোলরক্ষক কেইলর নাভাস বিশ্রামে। আরেক ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেলকেও বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান জিদান।

দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলতে নামা রিয়াল ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে। ছয় গজ বক্সের মধ্যে থেকে উনাই বুসতিনসার টোকা কাসিয়া রুখে দেন। তবে আলগা বল ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছিল। গোলমুখে দাঁড়ানো ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের দুর্বল শটে বল বুসতিনসার গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি অতিথিরা। একাদশ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার মাতেও কোভাসিচের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে দলকে সমতায় ফেরান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লুকাস ভাসকেস।

২৯তম মিনিটে দারুণ ওয়ান-টাচ ফুটবলে এগিয়ে যায় রিয়াল। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে শুরুটা করেন করিম বেনজেমা ও কাসেমিরো। শেষে ভাসকেসের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো।

দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের খেলা ছিল দৃষ্টিকটু। ভুল পাস আর উচ্চাভিলাসী শটে তাদের আক্রমণগুলো ডি-বক্সের বাইরেই ভেস্তে যাচ্ছিল। এর মাঝে ৬৪তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে ফরোয়ার্ড ক্লদিও বঁভিওর শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন কাসিয়া।

শুরু থেকে অনুজ্জ্বল ইসকো ৮২তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেন। বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর বেনজেমার বদলি গ্যারেথ বেলের কোনাকুনি শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন সের্হিও রামোস। ডি-বক্সে কোভাসিচ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় অতিথিরা। 

২৪ ম্যাচে ১৪ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

লিগে এখন পর্যন্ত অপরাজিত বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬২। ৭ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। চতুর্থ স্থানে নেমে যাওয়া ভালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৪৬।