কাতারে প্রস্তুতি নিতে যাবে বাংলাদেশ দল

গত বছরের অক্টোবরের পর প্রথম অনুশীলনে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগামী বুধবার থেকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হবে ক্যাম্প। এরপর লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে কাতার ও থাইল্যান্ডেও প্রস্তুতি নিতে যাবে অ্যান্ড্রু অর্ডের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2018, 01:51 PM
Updated : 13 Feb 2018, 01:51 PM

আগামী ২৭ মার্চ লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঠে গড়াবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রস্তুতি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা সাফকে কেন্দ্র করেই।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জাতীয় দলের সামনের দিনগুলোর কার্যক্রমের রূপরেখা তুলে ধরেন।

“এ বছরের সাফ ফুটবলকে সামনে রেখেই মূলত আমাদের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বিকেএসপিতে দুই সপ্তাহ ক্যাম্প চলবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দল কাতারে যাবে, সেখান থেকে ১৪ মার্চে দেশে ফিরবে। এরপর ১৯ মার্চে থাইল্যান্ডে যাব; সেখানে ২১ ও ২৩ তারিখে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ২৫ তারিখে লাওসে রওনা দেবে দল।”

কাতারের আধুনিক সুবিধা নিয়ে দল সেরা প্রস্তুতি নেবে, এমন আশাই করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

“ফেডারেশনের কাজ সবকিছু গুছিয়ে দেওয়া। খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া। বাদ বাকি কাজটা খেলোয়াড়দের এবং কোচকে করতে হবে। আমরা কেউই খেলে দিতে পারব না। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রস্তুতির সুবিধা আছে কাতারে। আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। এখন খেলার দায়িত্ব খেলোয়াড়দের।”

গত বছর জুনে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া অর্ড এই প্রথম জাতীয় দল নিয়ে কাজ শুরু করছেন। এর আগে বয়সভিত্তিক দলগুলোর ছিলেন ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ। তিনিও তাকিয়ে আছেন খেলোয়াড়দের দিকে।

“কাজ দেখানোর এটাই সময়। আমি কোনো কিছুরই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না কিন্তু এই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে ৩-৪ মাস ধরে। সভাপতিও বলেছেন, অজুহাত দেখানোর সময় শেষ হয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে, আমরা এক ম্যাচ দিয়ে খুব বাজে অবস্থা থেকে ভালো অবস্থায় চলে আসতে পারব না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।”

“আপনাদের বুঝতে হবে আপনি কোথায় আছেন এবং কোথায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে, আমাদের ৯৫ মিনিট খেলার জন্য তৈরি হতে হবে। আমার দায়িত্ব ট্যাকটিক্স সঠিক আছে কিনা, সেটা নিশ্চিত করা। আমি সঠিক খেলোয়াড়কে বাছাই করি এবং সঠিক পজিশনে খেলার জন্য তাকে তৈরি করি। খেলোয়াড়দেরও তাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে।”

ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে জুয়েল রানা ও ইয়াসিন খান চোটের কারণে ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছেন না। আগামী ৭ মার্চে এএফসি কাপে আবাহনীর ম্যাচ থাকায় ক্যাম্পের দলে আপাতত জায়গা হয়নি প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদের কোনো খেলোয়াড়ের। এএফসি কাপের পর আবাহনীর খেলোয়াড়দের ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্ড।

“আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এএফসি কাপ ও জাতীয় দলের প্রস্তুতি একই সঙ্গে না নেওয়ার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আপাতত তারা এএফসি কাপে পুরোপুরি মনোযোগ দিক। কাতার থেকে ফেরার পর আমরা তাদের খেলোয়াড়দের ডাকব।”