বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু থেকে শেখ রাসেলের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেরা আটে উঠে আসা চট্টগ্রাম আবাহনী। পঞ্চম মিনিটে মামুনুল ইসলামের কর্নারে শাখাওয়াত হোসেন রনির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের।
চার মিনিট পর তৌহিদুল আলম সবুজের গোলে এগিয়ে যায় তৃতীয় স্থানে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করা চট্টগ্রাম আবাহনী। সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বাদশ মিনিটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া শেখ রাসেল। ডিফেন্ডার খালেকুরজ্জামান সবুজের বাড়ানো বলে ফরোয়ার্ড মেহেবুব হাসান নয়নের জোরালো ভলি ঠিকানা খুঁজে পায়।
অষ্টাদশ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান দিক থেকে মামুনুলের কর্নারের পর ডি বক্সের ভেতরে পেয়ে যাওয়া বল জোরালো শটে জাল জড়িয়ে দেন সোহেল রানা। এরপর শেষ দিকের দুই গোলে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নেয় দলটি।
৪২তম মিনিটে বাঁ দিকের ডি বক্সের একটু ওপর থেকে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নিখুঁত ফ্রি কিক দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ালে শেখ রাসেলকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে চট্টগ্রাম আবাহনী।
দুই মিনিট পর জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় চট্টগ্রামের দলটির। বাঁ দিক থেকে আব্দুল্লাহর ফ্রি কিকে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা রনির নিচু হেডে পরাস্ত গোলরক্ষক মাকসুদুর রহমান।
৭৩তম মিনিটে ছোট ডি বক্সের বাইরে থেকে বদলি ডিফেন্ডার মোহাম্মদ জাভেদের শট জালে জড়ালে ব্যবধান ৪-২ এ নামিয়ে আনে শেখ রাসেল। কিন্তু পরে দুই গোলের ব্যবধান কমাতে পারেনি ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী।