আবাহনীর সামনে ত্রি-মুকুটের হাতছানি

ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ জেতা আবাহনী লিমিটেডের সামনে ঘরোয়া ফুটবলে ত্রি-মুকুট জয়ের হাতছানি। দলটির ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুও জানিয়েছেন, স্বাধীনতা কাপ জিতে ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষের লক্ষ্য তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2018, 12:53 PM
Updated : 15 Jan 2018, 12:53 PM

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সোমবার স্বাধীনতা কাপে লোগো উন্মোচন ও ১২ দলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী মঙ্গলবার উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী ও লিগের নবাগত দল সাইফ স্পোর্টিং। একই দিনে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়ন ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং।

২০১২-১৩ মৌসুমে বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ জয়ের কীর্তি আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। দ্বিতীয় দল হিসেবে আবাহনীর সুযোগ আছে এই তিন শিরোপা জয়ের। রূপুও জানালেন, সুযোগ কাজে লাগাতে প্রত্যয়ী তার দল।

“বিদেশিরা যেহেতু এবার খেলবে না, সেহেতু দেশি খেলোয়াড়দের জন্য নিজেদের উপস্থাপনের সুযোগ হয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য নকআউট পর্বে যাওয়া। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবব।”

“আমরা যেহেতু লিগ জিতেছি, ফেডারেশন কাপ জিতেছি, তাই খেলোয়াড়দের বাড়তি তাগাদা থাকবে এখানেও ভালো করা। লিগে অধিকাংশ গোল বিদেশিদের থেকে এসেছে কিন্তু আমাদের দেশি সংগ্রহও খারাপ নয়। আমরা শিরোপা জিতে মৌসুম শেষ করতে চাই।”

১৭ রাউন্ড পর্যন্ত শীর্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিততে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। দলটির সামনে স্বাধীনতা কাপের মুকুট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু জানালেন, তাদের প্রথম লক্ষ্য গ্রুপ পেরুনো।

“দল গড়া হয়েছিল লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় জন্য। ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত শীর্ষে ছিলাম। খেলোয়াড়দের আমি আত্মমূল্যায়ন করতে বলেছি। আমার কাজ হচ্ছে, তাদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করা না, তাদের অনুপ্রাণিত করা। দলের পুনর্গঠন করা।”

“ছেলেরা জানুয়ারি থেকে অনুশীলন করছে। তারা ক্লান্ত। রক্ষণ নিয়েও আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম লক্ষ্য নকআউট পর্বে ওঠা। শিরোপা নিয়ে এখনই কথা বলা আমাদের জন্য একটু বেশি আগেই বলা হয়ে যায়।”

লড়াইটা দেশি ফুটবলার নিয়ে হওয়ায় আশাবাদী ষষ্ঠ স্থানে থেকে লিগ শেষ করা শেখ রাসেল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।

“স্থানীয় ফুটবলারদের জন্য নিজেদের মেলে ধরার প্লাটফর্ম এটা। সামনে জাতীয় দলের খেলা আছে। স্থানীয়রা এই টুর্নামেন্ট দিয়ে জাতীয় দলে ঢোকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সেমিতে খেলাই আমাদের লক্ষ্য।”

“আবাহনী-চট্টগ্রাম আবাহনী-সাইফ এরা ভালো করবে। তবে কোয়ার্টারে যারা যাবে, তাদের সবারই সুযোগ থাকবে। নকআউট পর্বে ম্যাচ ডেতে জ্বলে উঠতে পারলেই হয়ে যায়।”

২০১১ সালে ফরাশগঞ্জকে স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন করানো কোচ কামাল বাবু এবার রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির ডাগআউটে থাকবেন। কষ্টে রেলিগেশন এড়িয়েছে রহমতগঞ্জ। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বাবুকে।

“আসলে কিভাবে বিদেশি ছাড়া দেশিদের খেলাতে হয়, সেটা আমরা ভালোভাবে জানি। গত মৌসুমে আমরা ভালো করেছিলাম কিন্তু এবার ভালো মানের খেলোয়াড় না থাকায় লিগে ভালো করতে পারিনি। এই টুর্নামেন্টে যেহেতু স্থানীয়রা খেলবে-ভালো করা সম্ভব। আমাদের ডিফেন্স অনেক শক্তিশালী, এটা ভাঙা অন্যদের জন্য কঠিন হবে।”

সপ্তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ রাশেদ পাপ্পুও আশাবাদী ভালো করবে তার দল।

“আমাদের দেশি ফুটবলারের সংগ্রহ ভালো। কিছু খেলোয়াড়ের ইনজুরি ছিল, তারা রিকোভার করছে। খেলতে পারবে। আমরা মাঠে প্রমাণ করতে চাই। চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”