১৫টি করে গোল নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের দুই বিদেশি ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোইন ও সলোমন কিং। লিগের ২২ ম্যাচের মধ্যে ১৮টিতে খেলা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওডোইন হ্যাটট্রিক করেন আরামবাগকে ৬-৪ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে। গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন ম্যাচ খেলেছেন ২১টি।
এরপর ১৩ গোল নিয়ে আছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি। ১০ গোল ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলা কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিওর। ৮ গোল নিয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ২৭ বছর বয়সী তৌহিদুল ম্যাচ খেলেছেন ২০টি।
সেরা ১৫ জনের মধ্যে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে ঠাঁই মিলেছে আরেকজনের। তিনি সেট পিস থেকে হেডে গোল করতে দারুণ পারদর্শী আবাহনীর নাসিরউদ্দিন। ৬ গোল করেন ৩৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের।
গত বছরও গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে ছিল বিদেশিরা। আবাহনীর লিগ জয়ের পথে ১৯ গোল অবদান রেখেছিলেন সানডে চিজোবা। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড এবারও খেলেছেন আবাহনীতে। দলটির লিগের মুকুট ধরে রাখায় তার অবদান ৯ গোল।
গত লিগে আবাহনীর হয়ে ৪ গোল করা মোহাম্মদ জুয়েল রানা এবার খেলেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে। দলটির লিগে তৃতীয় হওয়ার পথে ৫ গোল করেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তালিকায় তার অবস্থান ১৬তম।
গোল করানোতে অবশ্য এগিয়ে দেশিরা। সতীর্থদের দিয়ে ৮টি গোল করিয়ে অ্যাসিস্টের তালিকায় শীর্ষে আবাহনীর ৩২ বছর বয়সী ডিফেন্ডার মোহাম্মদ ওয়ালী ফয়সাল। জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন এবার লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪ গোল এনে দিলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৭টি।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলা আরেক ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ এনামুল হক লিগে গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। তবে সতীর্থদের দিয়ে ৬ গোল করিয়েছেন তিনি।
অথচ এবার দেশি ফরোয়ার্ডদের সুযোগ ছিল গতবারের তুলনায় বেশি। গতবার প্রতিটি দল সেরা একাদশে তিন জন বিদেশি খেলানোর সুযোগ পেয়েছিল। এবার সে কোটা নামিয়ে দেওয়া হয় দুই জনে। ফলে ম্যাচে দেশি ফরোয়ার্ডরা ছিলেন নিয়মিতই।
গতবারের তুলনায় সুযোগ বেশি পেলেও তা কাজে লাগাতে না পারার কারণ সামর্থ্যের ঘাটতি হিসেবে মনে করেন জাতীয় দলের দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটো।
“আমি মনে করি না, এবার আমাদের স্ট্রাইকারদের সামনে এবার সুযোগের অভাব ছিল। আসলে তাদের সামর্থ্যের অভাব। ফুটবলে বল পায়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। বল যখন পায়ে থাকবে না, তখন কোথায় থাকতে হবে, সেই জ্ঞান থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ফরোয়ার্ডরা এই সব দিক থেকে পিছিয়ে আছে। এ কারণে সুযোগ পেলেও তারা তা সেভাবে কাজে লাগাতে পারছে না।”
“কার্যকর স্ট্রাইকার বা ফরোয়ার্ড হতে হলে এর বিভিন্ন দিক আপনাকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। ফিটনেসও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের এখানে বিদেশি যারা খেলেন, তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ফিটনেস ভালো থাকতে হবে, রানিং ভালো হতে হবে। এ রকম অনেকগুলো বিষয় যখন যোগ হয়, তখনই প্রচেষ্টা সফল হয়। এ দিকগুলায় আমাদের ফরোয়ার্ডদের আরও উন্নতি করতে হবে।”