ভারতকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার লক্ষ্য বাংলাদেশের

সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ের আগে লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল  নিশ্চিত করা বাংলাদেশ ও ভারত। মূলত এটি নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হলেও এখানে জিতে লিগে সেরা হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2017, 12:33 PM
Updated : 20 Dec 2017, 12:33 PM

আগামী বৃহস্পতিবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। সমান ৬ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে শীর্ষে ভারত।

নেপালকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়। আর  ভুটানকে ৩-০ গোলে হারানো ভারত দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে গুঁড়িয়ে দেয় ১০-০ ব্যবধানে।

শক্তিশালী ভারতকে আটকাতে আগের দুই ম্যাচের মতো আক্রমণাত্মক কৌশলেই পরিকল্পনা সাজানোর কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রব্বানী।

“নেপাল ও ভুটানের বিপক্ষে যেভাবে আক্রমণাত্মক খেলেছি, ভারতের বিপক্ষেও একইভাবে খেলব।”

তাজিকিস্তানে গত বছর হওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়ার পথে ভারতকে দুই ম্যাচে ৩-১ ও ৪-০ ব্যবধান হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সাফেও স্বাগতিকদের ফেভারিট মানছে সব প্রতিপক্ষ। তবে ভারতকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না রব্বানী।

“আমি সবসময় সব প্রতিপক্ষকেই শক্তিশালী হিসেবে নেই। কাউকে ছোট বা সহজ প্রতিপক্ষ মনে করি না। ভারতের শক্তি সম্পর্কে আমাদের মেয়েরাও জানে। কেননা, তারা ভারতের বিপক্ষে বয়সভিত্তিক ও জাতীয় পর্যায়েও খেলেছে।”

“ভারত কেমন খেলে, কিভাবে খেলে সব বিষয়ে মেয়েদের জানা আছে। তবে মেয়েদের ফুটবলে ভারতের লম্বা ইতিহাস আছে। তারা সবসময় দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য করে। জিততে হলে তাদের বিপক্ষে সেরাটাই খেলতে হবে আমাদের।”

বুধবার শেষ দিনের অনুশীলনে ভারতকে নিয়ে বেশি না ভাবার পরামর্শও দেন কোচ।

“ওদের নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড় নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। ওভাবে কাউকে মার্কিংয়ে রাখার পরিকল্পনাও নেই। তবে ওদের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ভালো মনে হয়েছে। তাদের কিভাবে সামলাতে হবে মেয়েদের বলেছি।”

“তবে সবচেয়ে বড় কাজ হলো-প্রতিপক্ষকে না ভেবে আমাদের নিজেদের কাজটা করতে হবে। নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলতে হবে। কেননা, আমি আগেও বলেছি, ভারতের বিপক্ষে জেতাটা আমাদের ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”