প্রথম পর্বের ম্যাচে আরামবাগের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করা চট্টগ্রাম আবাহনী ১৭ ম্যাচে ১৩ জয় ও তিন ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে তারা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচের ৩০তম মিনিটে বলার মতো প্রথম সুযোগ পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে তৌহিদুল আলম সবুজের ফ্লিক বাইরের জালে জড়ায়।
দুই মিনিট পর ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আরামবাগের এলামলি বুকোলা বল নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচে শেখ জামালের জালে ৪ গোল করা দলটির খেলায় ছিল না চেনা ধার।
৪০তম মিনিটে ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে জাহিদ হোসেনের ফ্রি কিকে নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এলিসন উডোকার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে লিওনেল সেইন্ট প্রিয়াক্সের ক্রসে গোলমুখ থেকে সবুজ হেড করতে ব্যর্থ হলে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলের অপেক্ষা আরও বাড়ে।
৫৯তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে আক্রমণে ওঠা বুকোলাকে পেছন থেকে টেনে এলিসন ফেলে দিলে ডি বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক পায় আরামবাগ। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইকাঙ্গা।
শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৭৪তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় দলটি। ডান দিক থেকে জাহিদের ফ্রি-কিকে দূরের পোস্টে থাকা সুশান্তর হেড ড্রপ খেয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ব্যর্থ হলে ব্যবধান বাড়েনি। আগের ম্যাচে এই মিডফিল্ডারের গোলেই রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।
১৭ ম্যাচে ১০ম হারের স্বাদ পাওয়া মারুফুল হকের আরামবাগ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে।