শুক্রবার রাশিয়ার মস্কোয় ২০১৮ বিশ্বকাপের ড্রতে আর্জেন্টিনা ‘ডি’ গ্রুপে আর ব্রাজিল ‘ই’ গ্রুপে পড়েছে। তারা যদি নিজ নিজ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে ফাইনালেই কেবল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের দেখা হওয়া সম্ভব।
গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ আর্জেন্টিনার সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে আছে ক্রোয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আইসল্যান্ড। আর ‘ই’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও কোস্টা রিকা।
আর্জেন্টিনা গ্রুপ সেরা হয়ে এগুতে থাকলে কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে পর্তুগাল ও স্পেনের মতো দল। আর শেষ চারে উঠলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির সঙ্গে দেখা হতে পারে মেসিদের।
একইভাবে ব্রাজিল গ্রুপ সেরা হয়ে এগুলে কোয়ার্টার-ফাইনালে সম্ভাবনা আছে বেলজিয়াম বা ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার। আর সেমি-ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ফ্রান্স, পর্তুগাল কিংবা স্পেন।
তাই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব থেকেই সাফল্য পেতে থাকলে সাম্পাওলির স্বপ্নের ফাইনাল পেয়ে যাবে ফুটবলপ্রেমীরা।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওমনিস্পোর্টকে আর্জেন্টিনা কোচ বলেন, “ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল হবে একটা স্বপ্নের মতো, নেইমার বনাম মেসি। এটা হবে অবিশ্বাস্য। আশা করি, আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।”
দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর গত দুই বছরে টানা দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালেও উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের। রাশিয়ায় তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতে শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্ন দেখছে দেশটি। আর স্বাভাবিকভাবেই সে ভারটা পড়ছে বার্সেলোনার হয়ে ২৯টি শিরোপা জেতা মেসির কাঁধে।
এবার তো বাছাইপর্ব থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় মেসির জাদুকরী ফুটবলেই রক্ষা হয় ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। শেষ রাউন্ডে একুয়েডরের মাঠে বার্সেলোনা তারকার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে জিতে বিশ্বকাপের টিকেট পায় দলটি।
চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত করেছেন ১৬ গোল। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের এমন ফর্মই স্বপ্ন দেখাচ্ছে সাম্পাওলিকে।
“আমার চোখে মেসি চমৎকার, পরিণত, আত্মবিশ্বাসী। সে জানে সে কে। আর তার এমন ফর্ম আমাদেরকে স্বপ্ন দেখার আরেকটি কারণ জোগায়।”