আর্চারিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখছেন দ. কোরিয়ার ম্যানেজার

আর্চারিতে বিশ্বের সবচেয়ে সফল দেশ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে এসেছে শক্তিশালী দল নিয়ে। দলটির ম্যানেজার কিউংওয়ান চই আর্চারিতে সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশেরও।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2017, 03:26 PM
Updated : 27 Nov 2017, 03:26 PM

৩৪টি দেশের প্রতিযোগী নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০১২ সালের লন্ডন ও ২০১৬ সালের রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতা কি বো বায়ে, ২০১৪ সালের গ্রীষ্মকালীন যুব অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতা লি উ সেওকের মতো তারকাদের নিয়ে ঢাকায় এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। চই জানালেন, অলিম্পিকে ২৩টি স্বর্ণ, ৯টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জ জয়ের আগের পথটা তারা পেরিয়েছেন অনেক পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশকেও এগুতে হবে পরিকল্পনামাফিক।

এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পদকের খাতা শূন্য। রোমান সানা-হীরা মনিদের সেরা সাফল্য চলতি বছর ঢাকায় হওয়ায় আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে। দলগত পাঁচ ইভেন্টে এবং মেয়েদের ব্যক্তিগত রিকার্ভে হীরা মনির সাফল্য মিলিয়ে ৬টি সোনা জিতেছিল স্বাগতিকরা।

চলতি এশিয়ান গেমসে ছেলেদের দলগত রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডের দলগত দুই বিভাগসহ তিন ইভেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার টিম ম্যানেজার তাই কিছুটা ধারণা পেয়েছেন বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে।

“বাংলাদেশের আর্চারদের সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণা নেই। কেননা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের খেলা খুব বেশি দেখা হয়নি আমার। তবে এখানে এসে আমি তাদের দলে অনেক আর্চার দেখছি। তাদের বেশ শৃঙ্খল এবং গোছালো মনে হয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর এবং উজ্জ্বল মনে হচ্ছে আমার। আগামীতে তাদের সাফল্য দেখার অপেক্ষায় আছি।”

“একটা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে কোনো খেলা না এগোলে সাফল্য আসে না। অনেক কৌশলগত বিষয়ও আছে। আর্চারিতে আমাদের সাফল্যের কারণ অনেক কিছুর সমন্বয়। মাঠ, কোচ, আর্চারির আধুনিক সরঞ্জাম, অনুশীলন সুবিধা অনেক আর্চার-সবই আছে। সাফল্যের জন্য ‘পিরামিড’ ভিত্তি লাগে, অর্থাৎ তৃণমূল থেকে একদম শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে আমাদের আর্চারি। সাফল্য পেতে এগুলোর সমন্বয় দরকার।”

১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে আর্চারি থেকে প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছিল কোরিয়া। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। আর্চারি থেকে নিয়মিত এসেছে সাফল্য। চৌ জানালেন অনেক প্রচেষ্টা, পরিকল্পনার পরই এই সাফল্য এসেছে।

“লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে আমরা প্রথম স্বর্ণ জিতি, ওই সাফল্যটা এসেছিল আমাদের ২০ বছর আগে থেকে আর্চারি শুরুর ধারবাহিকতায়। মানে আমি বলতে চাইছি, অল্প সময়ে ওই অর্জন হয়নি। আর রিও অলিম্পিকের সাফল্যের পর আমাদের দেশে আর্চারির জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে শুরু করেছে।”

“চার বছর পর পর অলিম্পিক হয়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও হয় বেশ সময় পর-পর, এই লম্বা বিরতির কারণে আমাদের আর্চারিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটু উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে জাতীয় পর্যায়ে ১৬-১৭ টার ওপরে প্রতিযোগিতা হয়। এ কারণে একটা মান সবসময় বজায় থাকে।”