আর্চারিতে কোরিয়ার রেকর্ড, রোমানের ব্যক্তিগত সেরা স্কোর

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের র‌্যাংঙ্কিং রাউন্ডে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের আর্চার রোমান সানা ছাপিয়ে গেছেন ব্যক্তিগত সেরা স্কোর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2017, 01:23 PM
Updated : 26 Nov 2017, 02:05 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার মেয়েদের দলগত কম্পাউন্ড ইভেন্টের র‌্যাঙ্কিং রাউন্ডে ২ হাজার ১০৮ স্কোর করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার তিন আর্চার চই বোমিন, সো চায়েওন এবং সং-ইয়ুন সু। 
 
৫০ মিটার রাউন্ডে আগের রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ২০১১ সালে সাংহাইতে হওয়া আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেজ-৪ এ জেমি ভ্যান নাটা, ক্রিস্টি কলিন ও ডেয়ান ওয়াটসন ২ হাজার ৯৫ স্কোর গড়েছিলেন।
 
ছেলেদের রিকার্ভের র‌্যাংঙ্কিং রাউন্ডে ব্যক্তিগত সেরা ৬৬৬ স্কোর গড়েন রোমান। গত ইসলামিক সলিডারিটি চ্যাম্পিয়নশিপে গড়া ৬৬৩ স্কোর ছিল বাংলাদেশের এই তীরন্দাজের আগের সেরা।
 

ব্যক্তিগত সেরা স্কোর গড়ে দারুণ খুশি রোমান। র‌্যাংঙ্কিং রাউন্ডের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে রিকার্ভের ব্যক্তিগত ইভেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার লক্ষ্য পূরণ হবে বলেও মনে করেন তিনি।
“প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম, প্রথম তিনটা তীর খারাপ মেরেছি। তখন কোচরা এসে দেখিয়ে দিলেন। ভুলটা ধরিয়ে দিলেন। তাতে করে নিজের স্বাভাবিক শুটিংয়ে ফিরে এলাম। যে স্কোর করার কথা তার থেকেও আমি বেশি করেছি। প্রত্যাশার থেকে বেশি করেছি।”
“বাতাসে অতটা সমস্যা হয়নি। বাতাস অনুকূলে ছিল। ইন্ডিভিজুয়াল রাউন্ডে এই স্কোরের ধারাবাহিকতা যদি রাখতে পারি, তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আমার লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল।”
ছেলেদের দলগত রিকার্ভে ১ হাজার ৯৫৪ স্কোর নিয়ে ১৯ দলের মধ্যে নবম হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে খেলা তামিমুল ইসলাম ৬৫০ ও হাকিম আহমেদ রুবেল ৬৩৮ স্কোর গড়েন। তামিমুল ৩১তম ও রুবেল ৪১তম হয়েছেন। ব্যক্তিগত সেরা স্কোর গড়া রোমান ৭৯ প্রতিযোগীর মধ্যে হয়েছেন ১১তম।
 ছেলেদের দলগত কম্পাউন্ডে ২ হাজার ২০ স্কোর নিয়ে ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে খেলেছেন আবুল কাশেম মামুন (৬৮২ স্কোর, ২৩তম), নাজমুল হুদা (৬৭১, ৩২তম) এবং মিলন মোল্লা (৬৬৭, ৩৫তম)।
মেয়েদের দলগত কম্পাউন্ডের র‌্যাংঙ্কিং রাউন্ডে ২০ হাজার ২২ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ সাত দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছে। দলের হয়ে খেলা রোকসানা আক্তার (৬৮৪ স্কোর, ১৩তম), সুস্মিতা বণিক (৮৭৪, ২১তম) ও বন্যা আক্তার (৬৬৪, ২৬তম) গড়েন।
রাদিয়া আক্তার শাপলা (৫৮৩ স্কোর, ৪৮তম), নাসরিন আক্তার (৫৮২, ৪৯তম) ও রাবেয়া খাতুনের (৫৭৬, ৫১তম) আলো ছড়াতে পারেননি। দলগত রিকার্ভে ১ হাজার ৭৪১ স্কোর নিয়ে ১৪ দলের মধ্যে ১২তম হয়েছে বাংলাদেশ। 
মিক্সড কম্পাউন্ডে ১ হাজার ৩৬৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৪ দলের মধ্যে অষ্টম, মিক্সড রিকার্ভে ১ হাজার ২৪৯ স্কোর নিয়ে ১৯ দলের মধ্যে ১৩তম হয়েছে বাংলাদেশ।