ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে প্রথম পর্বে ২-০ গোলে জিতেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ১২ ম্যাচে টানা চতুর্থ এবং সব মিলিয়ে নবম জয় পাওয়া দলটি ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে বাঁকানো ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন জাহিদ হোসেন। একটু পর গোলমুখ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ তৌহিদুল আলম সবুজ নষ্ট করেন ক্রসবার উঁচিয়ে শট নিয়ে।
পিছিয়ে পড়লেও গোছালো ফুটবল খেলা ফরাশগঞ্জ অষ্টম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত। কিন্তু এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে চিনেডু ম্যাথিউ বেশি সময় নেওয়ায় তিন ডিফেন্ডার পথ আগলে দাঁড়ান। পরে বলের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া বাই সাইকেল কিক পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ত্রয়োদশ মিনিটে চিনেডুর আরেকটি শট ফিরিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাতা গোলরক্ষক।
২৮তম মিনিটে লিওনেল সেইন্ট প্রিয়াক্সের শট ক্রসবারে লেগে ফেরার ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় চট্টগ্রামের দলটি। ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠা প্রিয়াক্সকে আটকাতে গোলরক্ষক এগিয়ে আসেন। হাইতির এই ফরোয়ার্ড সুযোগ বুঝে বল বাড়ালে ফাঁকা পোস্টে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন সবুজ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের গোলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। বাঁ দিক থেকে জাহিদের কর্নারে মনসুর আমিনের নেওয়া হেডে পরাস্ত গোলরক্ষক। ৫৫তম মিনিটে মামুনুল ইসলামের ক্রসে অ্যালিসন উডোকার হেড জালে জড়ালে স্কোরলাইন ৪-০ করে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখার পর রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পান চট্টগ্রাম আবাহনীর সোহানুর রহমান।
সোমবার প্রথম ম্যাচে ওয়েডসেন আনসেলমে ও চার্লস এডওয়ার্ড উইলিয়াম শেরিংহ্যামের গোলে শিরোপাধারী আবাহনী লিমিটেডকে ২-১ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং।
১২ ম্যাচে সপ্তম জয় পাওয়া সাইফ স্পোর্টিং ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া আবাহনী ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।