গত বছর কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের ফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটে চিলির কাছে আর্জেন্টিনার হারের পর জাতীয় দলে আর না খেলার ঘোষণা দেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি।
বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ফুটবলে সব শিরোপা একাধিকবার করে জিতলেও আর্জেন্টিনার জার্সিতে তেমন কোনো সাফল্য নেই মেসির। কোপা আমেরিকার সবশেষ আসর ছাড়াও মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতার ২০০৭ ও ২০১৫ আসরের ফাইনালেও হারে তার দল। ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে হারতে হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শতবর্ষী আসরে ব্যর্থ হয়ে আর্জেন্টিনা দলে কোচের চাকরি হারান জেরার্দ মার্তিনো। নতুন কোচের দায়িত্বে আসেন এদগার্দো বাউসা। মেসিকে বুঝিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফেরাতে পারেন তিনি।
আর্জেন্টিনা দলে নিজের ফেরা প্রসঙ্গে মেসি বলেন, “কোনো কিছু না ভেবে আমি সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফিরতে চাই, এটা বলতে বিব্রত ছিলাম আমি। এল পাতন (বাউসা) ও আমার সতীর্থরা আমার ফিরে আসার জন্য সবকিছু সহজ করে তুলেছিল।"
২৪ বছর ধরে বড় কোনো শিরোপার দেখা পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। বারবার শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় মাঝে মধ্যে নিজ দেশের সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মেসিকে। তবে সমর্থকদের প্রত্যাশার এই পর্যায়গুলোর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে বয়সই সাহায্য করেছে বলে জানালেন মেসি।
“৩০ বছর বয়সে আমি এটা ভিন্নভাবে ও আগের তুলনায় অনেক বেশি উপভোগ করি। মাঠ ও মাঠের বাইরে আমি প্রতিটা মুহূর্ত কাজে লাগাই। জাতীয় দলের হয়ে ভিন্নভাবে এই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।”
“আমি এখন আরও বেশি নিশ্চিন্ত। তারা যখন আমার সমালোচনা করে, আমি এটাকে অন্যভাবে দেখি।”
মেসির দল আর্জেন্টিনার নজর এখন বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে। মস্কোতে শনিবার রাশিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার তিন দিন পর ক্রাসেনোদারে নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।