অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া সাবিনা গত সেপ্টেম্বরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সাবিনার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর মাঠে গড়ায় ম্যাচ।
একপেশে ফাইনালে ঠাকুরগাঁওকে ৩-০ গোলে হারানোর পর সতীর্থকে শিরোপা উৎসর্গের কথা জানান মূলপর্বে ১৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া রোজিনা আক্তার।
ফাইনালে জোড়া গোল করা রোজিনা বলেন, “সাবিনার সঙ্গে আমরা একসঙ্গেই খেলেছি। ওকে শিরোপা উৎসর্গ করার জন্যই ফাইনাল খেলতে নেমেছিলাম। এই ট্রফি ওর জন্য।”
জয়ের দিনে সাবিনার প্রসঙ্গ উঠতে আবেগ পেয়ে বসল কোচ সালাহ উদ্দিনকেও, “সাবিনা আমাদের এই দলেরই খেলোয়াড় ছিল। অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিল। ওর জন্য আমরা খেলব, জিতলে ট্রফিটা ওকে উৎসর্গ করব-এ সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলাম।”
“মেয়েরা প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নেমেছিল। প্রথমার্ধে একটু নার্ভাস ছিল। সেটা দ্বিতীয়ার্ধে কাটিয়ে উঠেছে। যাদের সঙ্গে খেলেছি তারা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সুতরাং এই ফলাফলে আমরা খুশি।”
ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নিজের মতো করে কয়েকজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় বাছাই করার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।
“বেশ কিছু খেলোয়াড় বাছাই করেছি। তাদের মধ্যে বেশ ক’জন সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকারও পেয়েছি। আমাদের পরিকল্পনায় এই বাছাইকৃত ফুটবলাররা ভালভাবেই আছে। তাদের ক্যাম্পে ডাকার চিন্তাও আছে।”
জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় হওয়া এই প্রতিযোগিতায় এবার মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড় হয়েছেন ময়মনসিংহের শামসুন্নাহার, সেরা গোলরক্ষক সাগরিকা (ঠাকুরগাঁও), সেরা ডিফেন্ডার তানিয়া (ময়মনসিংহ),
সেরা মিডফিল্ডার বিথিকা কিসকু (ঠাকুরগাঁও), সেরা স্ট্রাইকার সালমা খাতুন (ময়মনসিংহ), সেরা উদীয়মান ফুটবলার নীতি (টাঙ্গাইল)।