স্কোরিংয়ের সমস্যায় চিন্তিত ফুটবল কোচ

বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের খেলা গত তিনটি প্রতিযোগিতা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন অ্যান্ড্রু অর্ড। জাফর-সুফিলদের টেকনিক্যাল দিকের উন্নতিতে দারুণ খুশি তিনি। কিন্তু জাতীয় দলের এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের চিন্তার জায়গা গোল স্কোরিং নিয়ে। এ দিকে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এখনও হয়নি বলে বিশেষজ্ঞ কোচের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2017, 02:09 PM
Updated : 9 Nov 2017, 02:09 PM

গত পাঁচ মাস বয়সভিত্তিক দল নিয়েও কাজ করছেন অর্ড। গত জুলাইয়ে ফিলিস্তিনে অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই, গত সেপ্টেম্বরে ভুটানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কদিন আগে তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই খেলেছে বাংলাদেশ। এই তিন প্রতিযোগিতায় দলীয় খেলায় উন্নতির ছাপ দেখলেও গোলদাতার সংকট ভাবাচ্ছে অর্ডকে।

ফিলিস্তিনে বাছাইপর্বে তিন ম্যাচে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ ১৩ গোল হজম করে দিয়েছিল এক গোল। তাজিকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র গোল করেন সোহেল মিয়া।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হওয়ার পথে চার ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ গোল দিয়ে পাঁচটি খেয়েছিল। জাফর ইকবাল ৫ গোল নিয়ে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

তাজিকিস্তানের প্রতিযোগিতায় চার ম্যাচের দুটি জিতেছে বাংলাদেশ; একটি করে হার ও ড্র। এক গোল খেয়ে সুফিলরা দিয়েছে পাঁচটি। যার চারটিই গ্রুপের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জালে। মাহবুবুর রহমান সুফিল তিনটি, রিয়ালদুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ ঘোষ একটি করে গোল করেন।

মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়, স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দেওয়া, শক্তিশালী উজবেকিস্তানের কাছে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের আত্মঘাতী গোলে হার-এসবের মধ্যে উন্নতির ছাপ দেখছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উপদেষ্টা অর্ড।

“সব মিলিয়ে ছেলেদের খেলায় আমি সন্তুষ্ট। টেকনিক্যালি তারা ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে এবং প্রতিটি ম্যাচে মানসিকভাবে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে তারা খেলতে নেমেছে।”

তাজিকিস্তানে গোলের একাধিক সুযোগও নষ্ট করেছে জাফর-সুফিলরা। স্কোরিংয়ের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছেন অর্ড।

“আমি পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছি। অনূর্ধ্ব-২৩, ১৯, ১৬ নিয়ে কাজ করেছি। বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) অনেক ম্যাচ দেখেছি, বিসিএলের (বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ) কিছু ম্যাচও দেখেছি। এটা খুব পরিষ্কার যে, স্কোরিংয়ে আমাদের সমস্যা ভীষণ। যতক্ষণ না এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা পর্যাপ্ত ম্যাচ জিততে পারব না; কোনো প্রতিযোগিতার বাছাই উৎরাতে পারব না।”

“ছোট-ছোট গ্রুপ করে বিশেষজ্ঞ কোচের অধীনে এই দিকটা নিয়ে কাজ করা দরকার। বয়সভিত্তিক সব পর্যায়ের দলে ছেলেরা আক্রমণের সময় দৌড়টা ঠিকঠাক দিতে পারছে না, তাদের মুভমেন্টও ঠিকঠাক হচ্ছে না এবং ডি বক্সের ভেতরে তারা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারছে না, যেটা আমাদেরকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এই দিকে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।”