তাজিকিস্তানের হিসোর সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে উজবেকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর মালদ্বীপের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিতেছে তারা। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দেওয়ার পর মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতে ১-০ গোলে।
দুই ম্যাচে কোনো গোল হজম না করে প্রতিপক্ষের জালে ১৬ গোল করা উজবেকিস্তানকে তাই সমীহ করছেন রক্সি।
“বি গ্রুপে উজবেকিস্তান খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তারা এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ১০ গোল দিয়েছে। শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।”
“মালদ্বীপের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি আমি ও জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড দেখেছি। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল; পরে তারা ম্যাচ শেষ করেছে ৬-০ ব্যবধানে জিতে। তাদের বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার এবং সুযোগ পেলে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
তাজিকিস্তানকে আক্রমণ তৈরি করতে না দেওয়ার কৌশল কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছিল বাংলাদেশ। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে একই লক্ষ্য রক্সির।
“তাজিকিস্তানকে যেমন আমরা খেলা বিল্ড-আপ করতে দেইনি; এ ম্যাচেও সেটা করার চেষ্টা করব আমরা। ওরা যেহেতু আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, সেহেতু আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে, একটা দল হয়ে খেলতে হবে।”
অর্ডের মুখেও উজবেকিস্তানকে সমীহের কথা। তবে নিজেদের ওপর বিশ্বাস না হারানোর পরামর্শ জাফরদের দিচ্ছেন জাতীয় দলের কোচ।
“প্রথমত আমরা সবাই জানি, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে উজবেকিস্তান বিশ্বের একটি শক্তিশালী দল। তারা নিয়মিত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যায়, যার অর্থ হচ্ছে তাদের মান আছে।”
“তবে আমরা কতটা উন্নতি করেছি, আমাদের আরও কতদূর যেতে হবে সেটা দেখতে হবে। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার বার্তা-তারা যেন নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং যে সুযোগটা আসে, সেটা যেন কাজে লাগায়।”