শনিবার রাতে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের জয়টি ৪-১ গোলের। লিভারপুলের অপর দুই গোলদাতা জোয়েল মাতিপ ও অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন।
২১তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় লিভারপুল। সাদিও মানের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক জো হার্টকে নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন সালাহ।
এগিয়ে যাওয়ার রেশ থাকতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় দলটি। ২৪তম মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল ওয়েস্ট হ্যামের মার্ক নোবেলের পা হয়ে জালের দিকে ছুটছিল; জো হার্ট তা ফেরালেও গ্লাভসবন্দি করতে ব্যর্থ। গোলমুখে থাকা ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার মাতিপ সহজ সুযোগটি কাজে লাগান।
৫৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে আন্দ্রে আইয়ুর বাড়ানো ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মানুয়েল লানসিনি।
৭৫তম মিনিটের গোলে লিভারপুলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে ওঠা মানে বল বাড়ান সালাহকে। কোনাকুনি জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড।
রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে এ নিয়ে ১২ গোল করলেন সালাহ, যার ৭টিই লিগে।
১১ ম্যাচে পঞ্চম জয় পাওয়া লিভারপুল ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। চেলসি চতুর্থ ও আর্সেনাল পঞ্চম স্থানে রয়েছে-এই দুই দল অবশ্য লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে।
১০ ম্যাচ ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি; ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দ্বিতীয় ও ২০ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার তৃতীয় স্থানে আছে।