‘প্রথমার্ধে ৫ গোল পেতে পারত বাংলাদেশ’

মালদ্বীপকে হারানোর পর শিষ্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মাহবুব হোসেন রক্সি। তবে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করা জাফর-সুফিলদের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি বাংলাদেশ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2017, 02:38 PM
Updated : 2 Nov 2017, 04:09 PM

তাজিকিস্তানের দুশানবের রিপাবলিক সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম বৃহস্পতিবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে ১-০ গোলে জিতে বাংলাদেশ। গত সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন জাফররা।

ম্যাচের ৯০তম মিনিটে জাফর ইকবালের জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর ফিরতি বল জালে পৌঁছে দেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট হলেও শিষ্যদের হাল না ছাড়া মানসিকতার প্রশংসা করেন রক্সি।

“আজকের ম্যাচে আরেকবার প্রমাণিত হলো এই দলের খেলোয়াড়রা নব্বই মিনিট লড়াই করে গোল দিতে পারে। যেটা আমাদের ফুটবলের একটা বড় রোগ ছিল…আমরা আগে ৬০-৭০ মিনিট পর্যন্ত খেলতে পারতাম। তারপর দল দাঁড়িয়ে যেত। এই দল ব্যতিক্রম। সাফেও এটা আমরা প্রমাণ করেছি; এখানেও করলাম।”

“জানতাম ম্যাচে আমারা আধিপত্য করব। তবে গোল করা যে এত কঠিন হয়ে যাবে ভাবিনি। প্রথমার্ধেই পাঁচটা গোল হতে পারত। প্রথমার্ধে অন্তত একটা গোল হয়ে গেলে আমরা নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন-চারটা গোল বের করে ফেলতাম।”

তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ড্র ম্যাচে হালকা চোট পাওয়ায় মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন সুফিল। শুরুতে সুযোগ নষ্ট করলেও শেষ পর্যন্ত তার গোলে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। তবে দুই অর্ধ মিলিয়ে অসংখ্য গোলের সুযোগ হারানোয় হতাশ রক্সি।

“সুফিল গত ম্যাচে কিছুটা ব্যথা পাওয়ায় শুরু থেকে খেলাইনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে উইঙ্গার রহিমের জায়গায় তাকে নামাই। তিন মিনিটের মাথায় সুযোগ পেয়েও যায়। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়ে বাইরে মারে সে। এরপর আর দুটি সুযোগ সে কাজে লাগাতে পারেনি।”

“বিপলু, জাফর, স্বাধীন প্রথমার্ধেই অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছে। জাফর ওয়ান টু ওয়ান সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। স্বাধীনের শট গোললাইন থেকে এক ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দেয় প্রথমার্ধে।”

দারুণ খেলে বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে রুখে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষে আছে দল। তবে কোচের অস্বস্তির জায়গা দলের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা।

“আসলে ছেলেরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিল। খেলার আগেই জিতে গেছি এমন একটা আত্মবিশ্বাস চলে এসেছিল ওদের মধ্যে। এ কারণেই আমাদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টেনশনে থাকতে হয়েছে।”