টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন সোমা

শুরুর দুই সেটে সহজে জয়। তৃতীয় সেটে যেন স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসল সোনম সুলতানা সোমাকে। তবে ৫-০ গেমে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জিতলেন। পরের সেটে ফের দাপুটে খেলে উড়িয়ে দিলেন মৌমিতা আলম রুমিকে। জাতীয় টেবিল টেনিসে মেয়েদের এককের চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলেন সোমা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2017, 03:39 PM
Updated : 30 Oct 2017, 03:45 PM

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে সোমবারের মেয়েদের এককের ফাইনালে ‘বেস্ট অব সেভেন’ সেটের লড়াইয়ে গতবারের সেরা রুমিকে ৪-০ সেটে হারান সোমা। ১১-২ গেমের জয়ে শুরুর পরের তিন সেটে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির এই খেলোয়াড় জিতেছেন ১১-৮, ১৫-১৩, ১১-৬ গেমে।

এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলেন সোমা। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ গেমসে সেরা হওয়ার পর এ বছরই কোর্টে ফেরেন প্রতিযোগিতামূলক খেলায়। র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে সেরা হওয়ার পর জিতেছেন ফেডারেশন কাপের মুকুট। সব মিলিয়ে টানা তিন শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস সোমার, “কেমন লাগছে বলতে পারছি না। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আত্মবিশ্বাস ছিল জিতব।”

তৃতীয় সেটে চাপে পড়ে যাওয়ার কথাও জানালেন আনসারের এই খেলোয়াড়, “আসলে ২-০ সেটে জেতার পর চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। মনে হচ্ছিল, একটা সেট যদি ছেড়ে দেই-তাহলে পরে ম্যাচটা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এ জন্য মানসিকভাবে আপসেট হয়ে পড়েছিলাম। পরে তো ঘুরে দাঁড়ালাম।”

“চাপের কারণে তৃতীয় সেটে কিছু শট মিস হয়েছে, যেটা সাধারণত হয় না। আসলে এগিয়ে থাকলেও যেমন চাপ থাকে, পিছিয়ে থাকলেও থাকে। এ চাপের কারণেই হয়ত খেলাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।”

দুই ছেলে ইভান-ইফাজও ম্যাচ শেষে যোগ মায়ের সঙ্গে উদযাপনে দেয়। পরিবারবাকে কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি সোমা। বিশেষ করে তার মনে পড়ছে ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক প্রয়াত সমিরউদ্দিনকে।

“পরিবারের সবাই পাশে ছিল বলেই আমি খেলে যেতে পারছি। স্বামী (মোহাম্মদ আলী) কোচ হওয়াতেও সুবিধা হয়েছে। তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। আজ বিশেষ করে মনে পড়ছে সমিরউদ্দিন ভাইকে। তিনি ছিলেন বড় ভাইয়ের চেয়েও বেশি কিছু। এ জয় আমি তাকেই উৎসর্গ করছি।”