চীনকে হারিয়ে পঞ্চম স্থানের লড়াইয়ে বাংলাদেশ

দুর্দান্ত দুটি সেভ করলেন গোলরক্ষক আবু নিপ্পন। শেষে ভুল করলেন না অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। শ্বাসরুদ্ধকর শুট আউটে ৪-৩ ব্যবধানে চীনকে হারিয়ে এশিয়া কাপ হকির চলতি আসরে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2017, 04:20 PM
Updated : 19 Oct 2017, 05:01 PM

মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ওঠার লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হওয়ায় শুট আউটে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য।

শুট আউটে ফরহাদ আহমেদ সিটুল, নাইম উদ্দিন, পুস্কর ক্ষীসা মিমো ও জিমি লক্ষ্যভেদ করেন। বাংলাদেশের সোহানুর রহমান সবুজ লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন। গোলরক্ষক নিপ্পন ফেরান দুটি হিট।

শুক্রবার পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মিনিটেই গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। রাসেল মাহমুদ জিমির পুশে পুস্কর ক্ষীসা মিমোর হিট সাইড পোস্টে লাগে।

প্রথম কোয়ার্টারে বাংলাদেশের সার্কেলে চাপ ধরে রেখে একের পর এক পেনাল্টি কর্নার পায় চীন। সপ্তদশ মিনিটে দু তালাকে ষষ্ঠ পিসি কাজে লাগালে এগিয়ে যায় দলটি। একটু পর পিসি থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তালাকে।

২২তম মিনিটে মিমোর দুটি প্রচেষ্টা ফিরিয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করে গোলরক্ষক।

পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে আশরাফুল ইসলাম লক্ষ্যভেদ করলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সার্কেলের ভেতর রোমান সরকার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন আম্পায়ার।

২৮তম মিনিটে পিসি থেকে লক্ষ্যভেদ করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তালাকে। দুই গোল হজমের পর পোস্টের নিচে অসীম গোপের বদলি নামা নিপ্পন তখন হতে পারেননি দলের ত্রাতা। তৃতীয় কোয়ার্টারের শেষ দিকে চীনের সার্কেলে চাপ বাড়াতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু মইনুল ইসলাম কৌশিক-জিমি তালগোল পাকিয়ে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন।

চতুর্থ কোয়ার্টারে ম্যাচ জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ। ৫৩তম মিনিটে পিসি থেকে সরাসরি লক্ষ্যভেদ করতে না পারলেও বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে মিলনের নেওয়া হিটে পরাস্ত হন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পিসি থেকে দারুণ গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কৌশিক। নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ স্কোরলাইনে শেষ হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় শ্যুট-আউটে যাতে নিপ্পনের দৃঢ়তায় দারুণ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ হারুন জানান, ম্যাচের আগে পাওয়া তিন দিনের বিশ্রাম কাজে লাগার কথা।

“এ ম্যাচের আগে আমরা তিন ম্যাচ বিশ্রাম পেয়েছি। যার কারণে আমরা পুরোপুরি সতেজ হয়ে একটা ম্যাচ খেলতে পেরেছি।”

অধিনায়ক জিমি জানালেন পিছিয়ে পড়লেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল দল।

“পিছিয়ে পড়লেও আমরা হাল ছাড়িনি। লক্ষ্য ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার। সেটা করেছি। এ কারণেই জয়টা এসেছে।”