মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের দশম আসর। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় প্রতিযোগিতার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা
এশিয়া কাপে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৮৫ সালে নিজেদের মাঠে হওয়া প্রতিযোগিতায় পঞ্চম হওয়া। হকির বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও প্রতিপক্ষের চেয়ে ২০ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ (৩৪তম)। বাংলাদেশ কোচ হারুন অবশ্য দুই দলের ব্যবধান নিয়ে ভাবছেন না।
“পাকিস্তানকে নিয়ে বাড়তি উদ্বিগ্ন নই। তারা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। তারা এখনও শক্তিশালী দল। তবে আমরা আমাদের ভালো খেলাটা খেলতে চাই। আমরা কোনো চাপে নেই।”
আশরাফুল ইসলাম, মামুনুর রহমান চয়ন, খোরশেদুর রহমান-এই তিন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্টের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা আছে কোচের। নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার সারোয়ার হোসেনকে না পাওয়াটা অবশ্য কিছুটা দুর্ভাবনায় ফেলেছে হারুনকে।
“পেনাল্টি কর্নারের উপর স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি নির্ভর করব আমরা। আশরাফুল, চয়ন, খোরশেদ তিনজনই বিভিন্ন বৈচিত্র্যে পেনাল্টি কর্নার অনুশীলন করেছে।”
হকিতে পাকিস্তান কখনই বাংলাদেশের কাছে হারেনি। এশিয়া কাপে সর্বশেষ ২০০৭ সালের দেখা তারা জিতেছিল ১০-০ ব্যবধানে। আর সব শেষ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে জিতে ৬-০ গোলে। পরিসংখ্যান পক্ষে থাকলেও পাকিস্তান কোচ ফারহাত হাসান খান অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক।
“বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে। অবশ্যই তারা শক্ত প্রতিপক্ষ। বড় টুর্নামেন্টে অঘটন ঘটতেই পারে। তারা কোনো ধরনের অঘটন যাতে না ঘটতে পারে, এ ব্যাপারে পাকিস্তান সচেতন থাকবে।”