দি মারিয়া জ্বলে উঠবে, প্রত্যাশা সাম্পাওলির

একুয়েডরের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে লিওনেল মেসির পাশাপাশি আনহেল দি মারিয়াও জ্বলে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2017, 11:42 AM
Updated : 10 Oct 2017, 06:05 PM

চলতি মৌসুমে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি পিএসজির মিডফিল্ডার দি মারিয়ার। ক্লাবের হয়ে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে চাপের মুখে ২৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস কোচের।

“দি মারিয়া আর্জেন্টিনার এক জন উঁচু মানের খেলোয়াড়। সে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইঙ্গারদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত। তাই এই ধরনের ম্যাচগুলোর মতো পরিস্থিতিতে সে এমন এক খেলোয়াড় যাকে আমার বিবেচনা করতে হবে।”

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের পয়েন্ট ৩৮। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে উরুগুয়ে। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় চিলি। কলম্বিয়ার পয়েন্টও ২৬, তাদের গোল পার্থক্যও সমান, তবে কম গোল করায় পিছিয়ে কলম্বিয়া।

পঞ্চম স্থানে থাকা পেরুর পয়েন্ট ২৫। আর্জেন্টিনার পয়েন্টও সমান; দুই দলের গোল ব্যবধানও সমান। তবে কম গোল করায় পিছিয়ে আছে সাম্পাওলির দল।

এই অঞ্চল থেকে সেরা চার দল সরাসরি খেলবে আগামী বছরের বিশ্বকাপে। পঞ্চম দলটির সুযোগ পেতে হলে প্লে-অফ খেলে জিততে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটায় একুয়েডরের কিটোতে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।

পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে পড়লেও বিশ্বকাপ ভাগ্য নিজেদের হাতেই আছে আর্জেন্টিনার। শেষ রাউন্ডে তাদের উপরে থাকা দুই দল পেরু ও কলম্বিয়া বুধবার একই সময়ে মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচ ড্র হলে আর্জেন্টিনা একুয়েডরকে হারাতে পারলে সরাসরিই পাবে রাশিয়ার টিকেট।

আর আর্জেন্টিনার জয়ে পেরু ও কলম্বিয়ার মধ্যে যারা হারবে তারা চলে যাবে আর্জেন্টিনার নিচে। ফলে অন্য সব ম্যাচে যে ফলই হোক না কেন আর্জেন্টিনা জিততে পারলে অন্তত পঞ্চম স্থানে থেকে পাবে প্লে-অফ খেলার সুযোগ।

আবার একই সময়ে হতে যাওয়া ম্যাচে ব্রাজিলের মাঠে চিলি জিততে না পারলে আর্জেন্টিনা নিজেদের ম্যাচে জিতলে শীর্ষ চারে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকেট পাবে।

বিশ্বকাপভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে একুয়েডরের মাঠে আর্জেন্টিনার জিততেই হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কিটোর ২ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতায় বাইরের কারও জন্য খেলাটাই কষ্টকর। এই মাঠে তাদের অতীত পারফরম্যান্সও খুব একটা সুখকর নয় আর্জেন্টিনার। ২০০১ সালের পর থেকে একুয়েডরের মাঠে জিততে পারেনি তারা।

তবে সেসব নিয়ে ভাবছেন না সাম্পাওলি। কোনোমতে এ বাধা উতরাতে পারলেই খুশি তিনি।

“এ অবস্থায় দল জিতলেই আমি খুশি, এমনকি সেটা তাদের প্রাপ্য না হলেও। আশা করি, আমরা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিব।”