বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে জীবনের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সমতা ফেরান জাহিদ পারভেজ চৌধূরী।
১০ ম্যাচে ২১ করে পয়েন্ট আবাহনী ও শেখ জামালের। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম আবাহনী।
টানা তিন জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা আবাহনী অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। ডি বক্সের ভেতরে জায়গা করতে না পেরে ডান দিকে থাকা রুবেল মিয়াকে বল বাড়ান। এই ফরোয়ার্ডের দারুণ ক্রসে জীবনের হেড গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফেরান।
২৪তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতরে পেলেও সুযোগ নষ্ট করেন সলোমন কিং। শেখ জামালের এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ঠিকঠাক শটই নিতে পারেননি। প্রথমার্ধে এরপর আর বলার মতো আক্রমণে যেতে পারেননি জোসেফ আফুসির দল।
৩৮তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ইমন বাবুকে বল বাড়িয়ে গোলমুখে ছোটেন জীবন। সতীর্থের ডিফেন্সচেরা ফিরতি পাস নিয়ন্ত্রণে নিলেও গোলরক্ষকের গায়ে মারেন জীবন।
এগিয়ে যাওয়ার পর আবাহনীর খেলার গতি কমে। শিরোপাধারীদের চেপে ধরে শেখ জামাল। ৮৪তম মিনিটে রাফায়েল ওডোইনের শট গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল শুয়ে পড়ে ফেরানোর পর বল সামনে থাকা সলোমনের পায়ে লেগে গোলমুখে ছোটে। গোললাইন থেকে টুটুল হোসেন বাদশা বল ফেরান।
কিন্তু বল গোললাইন অতিক্রম করেছে দাবি করে উত্তেজিত হয়ে ওঠে ডাগআউটে থাকা শেখ জামালের কোচ, খেলোয়াড়রা। রাগে ক্ষোভে মাঠ ছেড়ে চলে যান কোচ আফুসি।
তবে যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরা গোল পায় শেখ জামাল। ডি বক্সের জটলার মধ্যে থেকে জাহিদের নেওয়া জোরালো শটে পরাস্ত হন শহিদুল। ড্রয়ের পর ডাগআউটে ফেরেন শেখ জামাল কোচ আফুসিও।